• ISRO PSLV-C56 Mission : মহাকাশ জয়ই একমাত্র লক্ষ্য নয়, জঞ্জাল সাফাইয়ে ইসরো! টুইটে বড় ঘোষণা
    এই সময় | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • সফল ভাবে শুরু হয়েছে পিএসএলভি-সি৫৬/ডিএস-এসএআর (PSLV-c56/DS-SAR) মিশন। এই মিশনের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সাতটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।

    ইসরোর তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, পিএস৪ (PS4) স্টেজ-ডি-অরবিটিং পরীক্ষা সফল হয়েছে। এই স্টেজে স্যাটেলাইটগুলিকে ২৯৫ কিলোমিটার X ৩০০ কিলোমিটার কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া হয়।

    এই প্রক্রিয়ায় মহাকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে কম সময় কাটাবে স্যাটেলাইটগুলি । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পুনঃ প্রবেশ করতে আগে সময় লাগত দুই দশকের বেশি। এখন সেই সময় কমে দাঁড়িয়েছে দুই মাসের কম। ইসরোর তরফে বলা হয়েছে, কোনও মহাকাশযান যত কম সময়ে মহাকাশে থাকবে তত সেই মহাকাশযানটির ধ্বংসাবশেষে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি কম। ভারত সকলের সুবিধার জন্য মহাকাশে জঞ্জাল কমানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি একেবারে সুনির্দিষ্ট স্থানে কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে স্থাপনে প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টা করছে।

    সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসটিএ (DSTA) এবং এসটি (ST) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে ডিএস-এসএআর (DS-SAR) স্যাটেলাইটটি। এই কৃত্রিম উপগ্রহটি সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও এসটি (ST) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বাণিজ্যিক গ্রাহকদের স্যাটেলাইট ছবির প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করবে । সিঙ্গাপুরের এই সাতটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ইসরো (ISRO) নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের (NSIL) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। এই স্যাটেলাইট মিশনটি সিঙ্গাপুর সরকারের চতুর্থ পিএসএলভি (PSLV) মিশন। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৩১টি বিদেশি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইসরো।

    শ্রীহরিকোটায় স্যাটেলাইটগুলি উৎক্ষেপণের প্রায় ২০ মিনিট পর সেগুলিকে সফলভাবে নির্ধারিত কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। ডিএস-এসএআর (DS-SAR) স্যাটেলাইটটির ওজন ৩৬০ কিলোগ্রাম। ৫৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর নিরক্ষীয় কক্ষপথের কাছে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির মূল্যায়ন করতে, কতটা জমি ফাঁকা রয়েছে, বনভূমি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে ব্যবহার করা হবে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ইমেজগুলি। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে ছবিগুলিকে ব্যবহার করা হবে।

    ডিএস-এসএআর (DS-SAR)-এর এসএআর-টি (SAR) পেলোডটি অর্থাৎ সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডারটি তৈরি করেছে ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। এটি আবহাওয়ার সবরকম পরিস্থিতিতে দিন ও রাতে, এক মিটার রেজোলিউশনে ছবি তুলতে সক্ষম।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির মূল্যায়ন করতে, কতটা জমি ফাঁকা রয়েছে, নতুন ভাবে বনভূমি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে ব্যবহার করা হবে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ইমেজগুলি। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে সাহায্য করতে সক্ষম এই ছবিগুলি।

    ডিএস-এসএআর উৎক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গে আরও ছয়টি সহ-যাত্রী উপগ্রহও উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সেগুলি হল
  • Link to this news (এই সময়)