• বিকেলেও মিলল না স্বস্তির খবর, বুদ্ধদেববাবু এখন ঠিক কেমন আছেন? জানাল হাসপাতাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে কোনও স্বস্তির খবর দিতে পারল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকেলে উডল্যান্ডস হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে যে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটজনক। তবে বুদ্ধদেববাবু স্থিতিশীল আছেন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, কেউ ডাকলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দিচ্ছেন। আকার-ইঙ্গিতের মাধ্যমে উত্তর দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। তাঁকে খাওয়ানোও হয়েছে। সংকটজনক হলেও কিছু ভালো লক্ষণও দেখা গিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা কেমন থাকেন, সেদিকে কড়া নজর রেখেছেন চিকিৎসকরা।

    সেই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ কাটছে না। রবিবার দুপুরে চিকিৎসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় জানান, বুদ্ধদেববাবুর যে সংক্রমণ আছে, তা নিয়ে সোমবারের আগে পরীক্ষা করে কোনও লাভ নেই। কারণ সবে শনিবার সন্ধ্যা থেকে অ্যান্টি-বায়োটিক পালটানো হয়েছে। সেটার প্রভাব পড়তে তো কিছুটা সময় লাগবে। এই মুহূর্তে সিটিস্ক্যানও করা হচ্ছে। স্থিতিশীল হওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা থেকে ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করা হচ্ছে। তারপর প্রয়োজন বুঝে সিটিস্ক্যান করা হবে বলে জানিয়েছেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসক।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, বুদ্ধদেববাবুকে নিয়ে এখনও উদ্বেগ আছে। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার পরও লড়াইটা জারি থাকবে। আরও সুস্থ করে তুলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ি পাঠানোর লড়াই চলবে। এগুলো সব পরের কথা। আপাতত তাঁর সংক্রমণ কমে কিনা, বাইরে থেকে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা কতটা, সেটা আগামিকাল-পরশুর মতো বোঝা যাবে। সেইমতো ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার চেষ্টা করা হবে। সেটা হচ্ছে প্রথম হার্ডল। তারপর বাকি বিষয়গুলির কথা ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    তারইমধ্যে বুদ্ধদেববাবুর কয়েকটি লক্ষণ ভালো বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক।তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফুসফুসের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তবে হৃদপিণ্ড ভালো আছে। তাঁকে দেখে গিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ফ্লুইডের ডোজের কিছুটা হেরফের করা হয়েছে। হৃদপিণ্ড বেশ ভালো থাকায় বুদ্ধদেববাবু লড়ে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার বুদ্ধদেববাবুর সুগারের মাত্রা  অনেকটা বেশি ছিল। কয়েক দফায় ইনসুলিন দিয়ে সেটা অনেকটা কমিয়েও আনা হয়েছে। তাঁকে খাওয়ানো গিয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)