• মার্কিন দূতাবাসের সামনে আটক পাকিস্তানের মহিলা, কয়েক দফায় চলছে জেরা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে পাক নাগরিকের কর্মী হয়ে থাকার পর আর একটি বড় খবর সামনে এল। খাস কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে মার্কিন দূতাবাসের সামনে মাঝরাতে এক মহিলাকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। তাঁর আচরণে অনেকক্ষণ ধরেই সন্দেহ হচ্ছিল পুলিশের। তাই নজর রাখা হচ্ছিল ওই মহিলার উপর। তারপর ওই মহিলার কাছে যেতেই পুলিশ দেখে হকচকিয়ে যান। ওই মহিলার কাছে থাকা কাগজপত্র দেখেই স্পষ্ট হন পুলিশ কর্তারা যে,ওই মহিলা পাকিস্তানের নাগরিক। চর হিসাবে এখানে এসেছেন সন্দেহে তাঁকে আটক করে চলছে দফায় দফায় জেরা। যদিও প্রমাণ না মেলায় তাঁকে ছেড়ে দিল কলকাতা পুলিশ।

    বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ তখন মাঝরাত। হো চি মিন সরণির মার্কিন দূতাবাসের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলেন এক মহিলা। সিসিটিভিতে ওই মহিলার সন্দেহজনক চলাফেরা ধরা পড়তেই আটক করা হয়। মহিলার ব্যাগ তল্লাশি করে পাকিস্তানের পাসপোর্ট উদ্ধার হয়। তখনই গোয়েন্দারা জেরা করতে শুরু করেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় একাধিক মোবাইল থেকে আসা পাকিস্তানের হোয়াটসঅ্যাপ। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যাট দেখেও সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। ২১ বছর আগে স্মৃতি মনে পড়ে যায়। মার্কিন দূতাবাসে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তারপর এই পাকিস্তানের মহিলার মাঝরাতে উপস্থিতি ঘুম উড়িয়ে দেয় গোয়েন্দাদের।

    তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই খবর চাউর হতেই গোয়েন্দারা ওই মহিলার সঙ্গে আইএস যোগ খুঁজতে শুরু করেন। শুরু হয়ে যায় দফায় দফায় জেরাপর্ব। কেন এসেছেন এখানে?‌ মার্কিন দূতাবাস কি উড়িয়ে দিতে চান?‌ এসব নানা প্রশ্ন ওই মহিলার কাছে ধেয়ে আসতে থাকে। টানা ২৪ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়। তবে জেরায় ওই মহিলার কাছ থেকে তেমন কোনও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। তাই ওই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, কলকাতার এক যুবকের সঙ্গে ওই পাকিস্তানের মহিলার বিয়ে হয়। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে নয়াদিল্লি হয়ে কলকাতায় আসেন তিনি।

    আরও পড়ুন:‌ বক্সায় আছে দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, আর কোন সুখবর দিল এনটিসিএ?

    কেন বিদেশে যেতে চান?‌ কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে থাকলেও আর্থিক সংকটে ভুগছেন তাঁরা। কারণ স্বামী বেকার। মহিলা টুকটাক কাজ করে সংসার চালান। তালতলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই দম্পতি। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মহিলার এদেশে দেশের ভিসা আছে। গোয়েন্দাদের তিনি জানান, কলকাতার ভিসা শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। তাই তিনি আমেরিকায় চলে যেতে চান। সেখানেই কাজ খুঁজবেন। তাই মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করতে এসেছিলেন। মহিলা বিউটি পার্লারে কাজ করেন। গোয়েন্দারা মহিলার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)