• এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কিছুক্ষণেই হবে সিটি স্ক্যান
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • গতরাতে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। এখনও পুরোপুরি বিপদ কাটেনি তাঁর। এখনও আছেন ভেন্টিলেশনেই। এখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক আছে বুদ্ধবাবুর। তবে আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে উডল্যান্ড হাসপাতালের সর্বশেষ মেডিক্যাল বুলেটিনে। বুলেটিন অনুযায়ী, রবিবার দুপুরে তাঁর সিটি স্ক্যান করানো হবে। জানা গিয়েছে, বুকের সিটি স্ক্যান করে ফুসফুসের ক্ষতির একটা আন্দাজ পেতে চাইছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সিওপিডি কী অবস্থায় আছে তাও সিটি স্ক্যান থেকে জানা যাবে। এদিকে বুদ্ধবাবুর চিকিৎসার জন্য তৈরি করা মেডিক্যাল বোর্ড পর্যবেক্ষণে রেখেছে তাঁকে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পারবেন বুদ্ধদেবকে কত দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হতে পারে।

    জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে ক্লেবশিয়েলা নামক একটি ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। এই ব্যাক্টিরিয়াটা নাকি 'মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স'। অর্থাৎ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। পাশাপাশি কোনও ওষুধের প্রতিক্রিয়াও হতে দেয় না শরীরে। এই আবহে বুদ্ধবাবুকে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল, সেটি নাকি বদল করা হয়েছে। এদিকে আরও জানা গিয়েছে, বুদ্ধবাবুর 'টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিয়োর' হয়েছে। অর্থাৎ, রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেশি আছে, অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে জ্বর আসে বুদ্ধবাবুর। শুক্রবার থেকে শুরু হয় মারাত্মক শ্বাসকষ্ট। এরপর শনিবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। সন্ধ্যায় কিছুটা স্থিতিশীল হলেও রাতে ফের সঙ্কটজনক হয় তাঁর শারীরিক অবস্থা। জানা যায়, বুদ্ধদেববাবুর ফুসফুসের সংক্রমণ অনেকটা বেশি আছে। এই আবহে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ইনভেনসিভ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এমনিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে ভুগছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একাধিকবার হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন তিনি। তবে বরাবরই হাসপাতালে ভরতি হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনীহা দেখা গিয়েছিল।

    এদিকে আজ সকালে বুদ্ধবাবুর অন্যতম চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বুদ্ধবাবুর শরীর এখন কতটা অ্যান্টিবায়োটিক কতটা গ্রহণ করতে পারছে, বা সেই ওষুধ কতটা কাজে দিচ্ছে। ওষুধে নিউমোনিয়ার প্রভাব কমছে কিনা, সেটা এখনই বোঝা সম্ভব নয়। সে কারণেই আমরা ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন ওনাকে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে তাতে কাজ হবে বলে আমরা আশা করছি।’ তাঁর কথায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)