• ‘‌রাজভবনে বিদ্যাসাগরের নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠা করতে চাই’‌, ঘোষণা রাজ্যপালের‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • আবার একটি উদ্যোগ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে নানা নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত অধ্যাপক চেয়ার করার উদ্যোগ নিলেন। সেটা তিনি করতে চান রাজভবনে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি উদ্যোগ নিয়ে নিয়েছেন। তাই তিনি বিষয়টি নিয়ে ঘোষণাও করেছেন। এখন দেখার গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত কেমন করে করেন রাজ্যপাল। তবে এক্ষেত্রেও শিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    এদিকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শনিবার সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সেখানেই তিনি এই ভাবনা ঘোষণা করেন। তবে গোটা পরিকল্পনাটি জানাননি। হাতেখড়ি নেওয়ার পর থেকেই বাংলার শিক্ষা–সংস্কৃতির উপর জোর দিতে শুরু করেছেন রাজ্যপাল। তিনি নিজেও অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেন। তাই একাধিক শিক্ষাবিদের সঙ্গে আগে বৈঠকেও বসেছিলেন। উত্তরবঙ্গে গিয়ে বহু উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যপাল। তারপর এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

    ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল?‌ এদিন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা বিদ্যাসাগরের দু’টি মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাজ্যপাল। তারপর সকলের উদ্দেশে সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘‌আমরা রাজভবনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যার শিক্ষাগত পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে সংস্কৃত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। এই চেয়ার বিদ্যাসাগরের নীতির উপর পড়াশোনা এবং গবেষণার উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে। বিদ্যাসাগরের নামে দু’টি পুরষ্কার চালু করা হবে। একটি পুরষ্কার রাজ্যের সেরা শিক্ষক এবং দ্বিতীয়টি মেয়েদের শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে।’‌

    আরও পড়ুন:‌ ‘‌নিরামিষাশীরাই এখানে শুধু বসতে পারবেন’‌, পোস্টার পড়ল আইআইটি বোম্বে ক্যাম্পাসে

    কেন এমন ভাবনা রাজ্যপালের?‌ বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত চেয়ার রাজভবনে করার পিছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এক, কলকাতায় অমিত শাহের সভায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আজও মনে রেখেছেন বাংলার মানুষ। সেখানে এই পথে প্রলেপ দেওয়া হবে। দুই, বাঙালি বিরোধী তকমা রয়েছে বিজেপির পাশে। সেটা কাটাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া। তিন, বিদ্যাসাগরের নামে পুরষ্কার ঘোষণা করে রাজ্য সরকারকে তাতে যুক্ত করতে পারেন রাজ্যপাল। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করলে এটাই প্রচার হবে বিদ্যাসাগরকে সম্মান দিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আবার চার, বিদ্যাসাগরকে সামনে রেখে এমন কাজ করে মানুষের মন জয় করা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)