• থাই স্লিট লাল ঝলমলে গাউন, জন্মদিন পার্টিতে হুমার সাজে মুগ্ধ নেটপাড়া
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • একের পর এক ভিন্ন ধারার ছবি, অভিনয়ের জোরেই বলিউডে অল্প সময়ে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। চলতি বছর ৩৭-এ পা রেখেছেন অভিনেত্রী। জন্মদিনের বিশেষ দিনের ঝলক নেটমাধ্য়মের পাতায় শেয়ার করেছেন হুমা। এ দিন লাল ডিপনেক ঝলমলে গাউনে সেজেছিলেন অভিনেত্রী।

    এ বছরের জন্মদিনে কাছের মানুষদের নিয়ে কোনও এক রেস্তোরাঁয় সেলিব্রেট করেছেন হুমা। টেবিলের উপর সাজানো একাধিক কেক। ছুরি হাতে কেক কাটার আগের মুহূর্তে নেচে উঠেছেন অভিনেত্রী। পরনে তাঁর থাই স্লিট লাল ঝলমলে ডিপনেক গাউন। মোমবাতিতে ফুঁ দিয়ে কেকে ছুরি বসান অভিনেত্রী। ভিডিয়ো শেয়ার করে হুমা লিখেছেন, ‘আমার এমন কাউকে চেনা নেই যাদের আমার মতো নিজেদের জন্মদিন নিজেদের কাছে অনেকটাই বেশি প্রিয়’।

    হুমার পোস্টে অভিনেত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর এই ভিডিয়োই তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিল্লিতে বড় হওয়া হুমা কুরেশি আদতে ব্যবয়াসী পরিবারের সন্তান। অভিনেত্রীর বাবা সালিম কুরেশি রেস্তোরাঁ চালান। ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতক হুমা। 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' ছবি দিয়েই বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ছবি 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' ছবির হাত ধরে কেরিয়ারের মোড় ঘুরে গিয়েছিল অভিনেত্রীর।

    ছোট থেকেই অভিনেত্রী হতে চাইতেন হুমা। স্নাতক হওয়ার পরে তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ ছেড়ে দিয়ে অভিনয়ে মন দিতে চেয়েছিলেন। সিনেমায় সুযোগ পাওয়ার আগে দিল্লিতে বিভিন্ন থিয়েটার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে দিল্লি থেকে মুম্বই পাড়ি দেন। ‘মহারাণী’ থেকে শুরু করে ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’, বারে বারে নিজের অভিনয়ের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন তিনি। ‘এক থি ডাইন’, ‘লাভ শুভ তে চিকেন খুরানা’, 'বদলাপুর', ‘জলি এলএলবি’, নিজের অভিনয়ের ধারায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন হুমা।

    ধর্মের ভিত্তিতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মেরুকরণ নিয়ে মুখ খোলেন সম্প্রতি বলি অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। ৭ জুলাই থেকে তাঁর সিনেমা ‘তরলা’ মুক্তি পেয়েছে জি ফাইভে। ‘বদলাপুর’ অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, তিনি কখনও অনুভবই করেননি তিনি একজন মুসলিম বা অন্যদের থেকে 'আলাদা'।

    হুমা বরাবরই একজন স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় চলচ্চিত্রে মেরুকরণ বিদ্যমান কি না তখন একটু যেন অসন্তুষ্টই হয় তিনি। জবাব আসে, ‘আজকাল এই কথাগুলো শুনছি, আমি জানি না এই প্রশ্নগুলো কেন উঠছে।’ বলেন, ‘আমি কখনোই বুঝতে পারিনি যে আমি মুসলিম এবং আমি আলাদা। আমার বাবা রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন, সেলিম কৈলাশ কলোনিতে (দিল্লির)। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, আমি নিজেকে কখনও আলাদা অনুভব করিনি। তবে অন্য লোকেরা আমার থেকে আলাদা অনুভব করতেই পারে। আমি মনে করি, প্রশ্ন ওঠা উচিত এবং প্রতিটি সরকারেরই সেটা নিয়ে উত্তর দেওয়া উচিত।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)