• প্রেমের ফাঁদে ফেলে সহবাস, প্রেমিকাদের নথি ব্যবহার করে লোন! লাখ লাখ টাকার প্রতারণায় ধৃত আইটি কর্মী
    এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৩
  • Cyber Crime Update: ফের প্রতারণার অভিযোগ আইটি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিনব পদ্ধতিতে একাধিক মহিলাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগ। অভিযুক্তকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক একজন আইটি কর্মী। সেই সুবিধাতে আইটি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের টাকা লুঠ করত অভিযুক্ত। অভিযোগ, অভিযুক্ত তরুণ প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে সহবাস করত ও তরুণীদের অজান্তে তাদের ডকুমেন্টস নিয়ে ইএমআই-তে তাদের নামে বিভিন্ন জিনিস কিনত। এমনকী কয়েকজনের নামে লোনও তুলেছিল ওই যুবক বলে অভিযোগ। ধৃত যুবকের নাম মিলন নাদকর। সে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০/০৪/২৩ তারিখে নিউটাউন থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন যে কর্মক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। তখন সেই মহিলাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে তার নামে ইএমআই-তে তার অজান্তে বিভিন্ন জিনিস কেনে। শুধু তাই নয় ওই তরুণীর নামে লোনও নেওয়া হত। এই ভাবেই তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে বলে তরুণী জানান।

    এই অভিযোগ পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, হুগলি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তার খোঁজ শুরু হতেই জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরেই পুলিশ খোঁজখবর শুরু করলে জানা যায়। যে সে গোয়াতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেই খবরের সূত্র ধরে নিউটাউন থানার পুলিশ গোয়াতে হানা দেয়। সেখান থেকে অভিযুক্ত মিলন নাদকার কে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, নিউটাউন থানার পুলিশ অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে যে, এই মিলন সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন মহিলা ও তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাত। সেখান থেতে ফাঁদ পেতে ও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সঙ্গে বিশ্বাস অর্জন করত। পরের ধাঁপে রোমান্টিক ডেট ও ট্রিপে সহবাস। তারপর সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে সেই মহিলা ও তরুণীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্যান কার্ড, আধার কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে জালিয়াতি করত। সেইসব তরুণী ও মহিলাদের অজান্তেই তাদের প্যান, আধার, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন শপিং মল থেকে ইএমআই এর মাধ্যমে দামি জিনিসপত্র কিনত। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন ও নেওয়া হত।

    এরপরই যখনই সেই সমস্ত মহিলা বা তরুণীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটতে থাকে তখনই তারা জানতে পারে যে তারা কোনওভাবে প্রতারিত হয়েছে। ততদিনে মিলন তাদের সঙ্গে ব্রেকআপ করে দিত। এই ভাবেই অভিযুক্ত মিলন এক নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার ছক কষেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে ।
  • Link to this news (এই সময়)