• '...কেউ প্রভাবিত করতে পারে না', চাকরি খুইয়েও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর ভরসা অটুট ববিতার
    এই সময় | ০২ আগস্ট ২০২৩
  • রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে সরিয়ে হাই স্কুলের শিক্ষিকা পদে ববিতা সরকারকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, বেতনবাবদ প্রাপ্য অর্থও মিটিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    এরপর কাজে বহাল থাকলেও পরবর্তীতে সামনে আসে, ববিতা সরকারের নম্বর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি SSC। অপর প্রার্থী অনামিকা রায়ের থেকে দুই নম্বর কম পান তিনি। এরপর ববিতাকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, অঙ্কিতা অধিকারী যে অর্থ ফিরিয়েছিলেন তাও জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    সেই সময় কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ববিতা। ওই অর্থ দিয়ে তিনি গাড়ি কিনেছিলেন সেই কথাও জানিয়েছিলেন । এদিকে চাকরি যাওয়ার পরেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর থেকে সামান্যতম ভরসা সরেনি ববিতার। তিনি বুধবার এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, “একবার যাঁকে ভগবানের আসনে বসানো হয়, তাঁকে তো আর নামানো যায় না। তিনি সৎ, নির্ভীক এবং নিরপেক্ষ একজন মানুষ। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস রাখেন তিনি। কেউ তাঁকে প্রভাবিত করতে পারে না। এই জন্যই হয়তো তাঁকে এত সম্মান করি।”

    পাশাপাশি কমিশনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। ববিতা বলেন, “আমার কোনও কিছুতে ভুল থাকলে তা কমিশনের ভুল। কমিশন পুরো প্যানেলটাকে দুর্নীতিতে ভরিয়ে দিয়েছে। আজকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে তালিকা বেরিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে প্যানেলে নেই এই রকম অনেকেই ২০১৮ সাল থেকে চাকরি করছে। আমার ক্ষেত্রে না হয় ভুল হয়েছে মানলাম। কিন্তু, যাঁদের নামই নেই প্যানেলে তাঁরা কী ভাবে চাকরি করছেন? আগমীদিনে আমি সুবিচার পাব।

    আমি সঠিক পদ্ধতিতে পাশ করে আইনত চাকরি পেয়েছিলাম ।” SSC Recruitment Scam: মন্ত্রীকন্যার পর চাকরি গেল ববিতারও! এবার অনামিকা! উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি পোস্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কয়েকটি উক্তিকে সামনে রেখে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই মন্তব্যগুলিকে সামনে রেখে দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখেছেন, " ধীরে ধীরে খুলছে মুখোশ, নগ্ন হয়েছে ন্যায়ের রূপ। মুখ খোলো যদি ভীষণ শাস্তি! তাই কি আমরা রয়েছি চুপ?" তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

    এর আগে কুণাল ঘোষও তোপ দেগেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি এই বিচারপতিকে ‘অরণ্যদেব’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।
  • Link to this news (এই সময়)