• রাজভবনে 'অ্যান্টি করাপশন সেল', শিক্ষা-দুর্নীতির অভিযোগ এল রাজ্যপালের কাছে
    এই সময় | ০২ আগস্ট ২০২৩
  • ভোটের বাজারে রাজভবনে পিসরুম খুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার রাজভবনে 'অ্যান্টি করাপশন সেল' খুললেন রাজ্যপাল। রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এই হেল্পলাইন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। আর এর জেরেই রাজভবন রাজ্যের নয়া সংঘাত শুরু বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা অশান্তির খবর পেয়ে রাজ্য জুড়ে পরিদর্শনে বার হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিজেকে দাবি করেছিলেন, গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল হিসেবে। কোচবিহার থেকে ক্যানিং, ভাঙড় থেকে মালদা সমস্ত অশান্তির জায়গায় গিয়ে আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। সেসময়ই ভোটে অনিয়ম নিয়ে রাজভবনে খুলেছিলেন পিসরুম। ২৪x৭ সেই হেল্পলাইনে অশান্তি, হিংসা, অনিয়মের অভিযোগ করা যেত। এবার সেই ধাঁচেই রাজ্যে সমস্ত ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ শুনতে আরও একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হল।

    ১ অগাস্ট থেকেই এই 'অ্যান্টি করাপশন সেল' হেল্প লাইন চালু করেছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি সহ রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে আট-দশটি ফোন এসেছে বলে খবর। এখানে জমা পড়া প্রতিটি অভিযোগে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেই এই সেল বলে জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শাসক দলের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, 'এটা বেদনাদায়ক যে রাজ্যের একজন মন্ত্রী জেলে।' যদিও বর্তমানে শিক্ষা দফতর ব্রাত্য বসুর হাতে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক।

    একজন রাজ্যপালের এমন সেল খোলার এক্তিয়ার আছে কিনা এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 'অ্যান্টি করাপশন সেল' খোলা প্রসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেছেন। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের একটি জনসভা থেকে কোনও অনিয়ম হলে 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী'-তে ফোন করে জানাতে বলেছিলেন এবং এও বলেছিলেন তিনি নিজে ব্যবস্থা নেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বক্তব্য ধরেই রাজ্যপাল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যা করতে চান, আমিও তাই করতে চেয়েছি।'

    Governor CV Ananda Bose : রাজভবনে ‘পিসরুম’! রাজ্যপালকে বিঁধলেন মদন সেলিম! এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের কটাক্ষ, 'এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সাংবিধানিক প্রধান হয়ে প্রশাসনিক প্রধানের জায়গা নিতে চাইছেন। এটা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। কেন্দ্রের বিজেপিকে খুশি করতে রাজ্যপালের চেয়ারটাকে পদ্মপালের চেয়ার আর রাজভবনকে বিজেপির দফতরে পরিণত করেছেন।' প্রসঙ্গত, রাজ্যকে না জানিয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
  • Link to this news (এই সময়)