• CBI-র নজরে ৪! বাহিনীতে পাক নাগরিক নিয়োগে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
    এই সময় | ০২ আগস্ট ২০২৩
  • বুধবার ভারতীয় সেনা বাহিনীতে পাক চর নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন এই মামলা নিয়ে আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল CBI। সোমবারের পর ফের এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময়ই আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই।

    আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই অভিযোগের গুরুতর ভূমিকা রয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারত সহ অন্য রাজ্য থেকে জাল নথি দিয়ে বাহিনীতে নিয়োগ হচ্ছে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ও জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, মহকুমা শাসকের সই করা সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, অথচ তিনি তা স্বীকার করছেন না। শুধু ডোমিসাইল নয় এমন প্রার্থীদের ওবিসি সার্টিফিকেটও দিয়েছেন মহকুমা শাসক।

    CBI আদালতকে জানিয়েছে, এই রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনায় জেলা থেকে এমন বেশ কিছু নথি হাতে পাওয়া গিয়েছে। তবে সেনা বাহিনী নয় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর ক্ষেত্রে এমন নিয়োগের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এখনও এমন নিয়োগের চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধু এই রাজ্য নয়, প্রতিবেশী রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এই ধরনের কার্যকলাপের হদিশ পাওয়া গিয়ছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।

    সিবিআই আদালতকে বলেছে, 'এখনও অবধি কোনও বিদেশি নাগরিকের এইভাবে চাকরি পাওয়া হদিশ না পাওয়া গেলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। এটা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদের কারণ।' বেশ কিছু সরকারি অফিসার এই চক্রে যুক্ত রয়েছে বলে আদালতে ইঙ্গিত দিয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের নজরে এক মহকুমা শাসকও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    শুনানির শেষে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, 'এই রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ফলে এখানের বাহিনীতে নিয়োগের একটা সুযোহগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিন রাজ্যের নাগরিকরা জাল ডো মিসাইল সার্টিফিকেট চক্রের মাধ্যমে ঢুকে পড়ছে বাহিনীতে। দ্রুত FIR করে এখনই তদন্ত শুরু করতে হবে। যতদিন না সিবিআই এই তদন্তের রিপোর্ট দিচ্ছে ততদিন বিষ্ণু চৌধুরীর নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।'

    হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে পাক নাগরিক নিয়োগের অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হন। সোমবার এই মামলাতে FIR দায়েরের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নিরাপত্তার জন্য আগেই হুগলির পুলিশ সুপারকে আবেদনের কথা বলেছিল হাইকোর্ট। এই মামলার তদন্ত কোন পথে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।
  • Link to this news (এই সময়)