• স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে রয়েছে প্রশাসনিক মদত, আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে দাবি সুকান্তর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ আগস্ট ২০২৩
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ছাত্রের মৃত্যুর পরেই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিংয়ের মতো ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রমাণ করে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রকৃত শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ একই সঙ্গে এই ঘটনাকে ‘সরকারের লজ্জা’ বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার।

    যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে টুইট করে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ঘটনা প্রমাণ করে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রকৃত শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘ র‌্যাগিংয়ের মতো জঘন্য অপরাধ নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য লজ্জা।’ পাশাপাশি মৃত ছাত্রের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন, ‘স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর পরিবারকে আমার গভীর সমবেদনা।’

     

    কী ঘটেছিল?

    বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার গভীর রাতে নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয় হোস্টেলের বারান্দা থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর খবর জানতে পেরে শোকের ছায়া নেমে আসে স্বপ্নদ্বীপের পরিবারে। এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবেই পরিচিত স্বপ্নদ্বীপ উচ্চ শিক্ষার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা না খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল ছাত্রের। ফোনে তিনি মাকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ভয় লাগছে। এরপর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ছাত্রের পরিবারকে জানায় হোস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদ্বীপের। প্রথমে তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, এটি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা। ছাত্রটির মাথায় এবং শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।

    গতকাল এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের পর রাতে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনার পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে ঘিরে কালো পতাকা দেখান পড়ুয়ারা। যদিও এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাঁরা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি জানিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য্য। একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি জানান তিনি।

     

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)