• 'যাদবপুরের ভাইটা... খুনির নাম…', স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দেবাংশু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ আগস্ট ২০২৩
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে এবার বিস্ফোরক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই ঘটনায় তাঁর অভিযোগের তির বাম ছাত্র সংগঠনের দিকে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় উঠে আসছে ব়্যাগিং তত্ত্ব। সূত্রের খবর, ছাত্র নিবাসের অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে যে মৃত্যুর রাতে স্বপ্নদীপ মদ্যপান করেননি। তিনি একেবারে স্বাভাবিক খাবার খেয়েছিলেন। তবে বুধবার খুব ভয় পেয়েছিলেন। বারবার বলছিলেন যে ‘আই অ্যাম নট আ গে’। তাহলে তাঁকে সমকামী বলে র‌্যাগিং করা হচ্ছিল কিনা, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আপাতত এই মামলায় তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। আর এরই মধ্যে এক ফেসবুক পোস্ট করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন দেবাংশু।

    গতরাতে এক ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাংশু স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যু নিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের ঘাড়ে দোষ চাপান। লেখেন, 'যাদবপুরের ভাইটাকে নিয়ে আলোচনা নেই। টিভিতে বিতর্ক নেই। প্রতিবাদ নেই..মিছিল নেই! কারণ? খুনির নাম বাম ছাত্র সংগঠন।' এর আগে স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুণ্ডু দাবি করেছিলেন তাঁর ছেলে ব়্যগিংয়ের শিকার। র‌্যাগিংয়ের তত্ত্ব উঠে আসছে যাদবপুরের পড়ুয়াদের মধ্যে থেকেও। ঘটনায় আবার যাদবপুরের প্রাক্তনীদের নামও উঠে আসছে। যাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লেও বহাল তবিয়তে হস্টেলে এসে থাকতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ক্যাম্পাসে তাঁর গাড়ি ঢুকতেই স্লোগান ওঠে - 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর স্বপ্নদীপ কুণ্ডু'। পরে হস্টেলেও গিয়েছিলেন বোস।

    যাদবপুরের মেন হস্টেলের একটি ব্লকে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে থাকতেন স্বপ্নদীপ। বুধবার যে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন, তা ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে জানানোর চেষ্টা করছিলেন বাকিরা। প্রাথমিকভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পেরেছিলেন তাঁরা। তবে ঘড়ির কাঁটা ১১ টা পেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে ওই পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে স্বপ্নদীপ একাধিকবার শৌচাগারে যাচ্ছিলেন। একাধিবার বলছিলেন যে ‘আই অ্যাম নট আ গে।’ স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে জানানো হয়েছে, উপর থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে বুধবার রাত ১২ টা নাগাদ হস্টেলের তিনতলার ব্যালকনি থেকে স্বপ্নদীপ পড়ে যান। সেইসময় তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এক পড়ুয়া। স্বপ্নদীপের হাত ধরতে পারেননি তিনি। হাত ফস্কে যায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোর চারটে নাগাদ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বপ্নদীপের পরিবারের দাবি, ছেলে আত্মহত্যা করেননি। বরং র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন তিনি। সেই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে যাদবপুর থানা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)