• যাদবপুরে সিসিটিভি বসানোর জন্য অবশেষে অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি বসানোর জন্য অর্থ আগেই মঞ্জুর করেছিল রাজ্য সরকার। সেইমতো এবার টাকা বরাদ্দ করা হলো। বুধবার অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তরফে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে সিসিটিভি বাবদ মোট মোট ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা বরাদ্দ করা হল। ফলে দ্রুতই সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথায় কোথায় সিসিটিভি লাগানোর জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে সেই কথাও রাজ্যের সহকারী সচিবের এই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। 

    চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাসের গেট, হস্টেলের গেট এবং সল্টলেক ক্যাম্পাসের গেটে নজরদারির জন্য সিসিটিভি বসাতে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে সিসিটিভি বসানোর কাজ করবে ওয়েবেল। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ টি জায়গায় সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার জন্য ১০টি জায়গা ইতিমধ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গেট এবং হস্টেলগুলি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার টাকা দিলেই তারা দ্রুত সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু করে দেবে। এখন কবে থেকে এই কাজ শুরু হয় সেটাই দেখার।

    উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের ৩ তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। সেই ঘটনায় র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এরপরে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে একে একে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  এদিকে, এই ঘটনার পরেই সিসিটিভি বসানোর দাবি ওঠে নাগরিক মহলে। তাছাড়া সিসিটিভি না থাকায় ইউজিসির গাইডলাইন মানা হয়নি বলেও প্রশ্ন উঠেছিল। প্রসঙ্গত, যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন অবস্থায় ছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি বসানোর পক্ষেই সায় দিয়েছিল। এদিকে, পরে বিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয় বুদ্ধদেব সাউকে। তিনি প্রথম দিকে সিসিটিভি বসানোর পক্ষে না থাকলেও পরে অবশ্য সিসিটিভি বসানোর কথা জানান। কিন্তু, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার একমাস পরেও চলে নানা রকম টালবাহানা। পরে দেখা যায় পড়ুয়াদের কিছু অংশ সিসিটিভি সমান বসানোর বিরোধিতা করে। তবে উপাচার্য জানান, যেটা প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে বিরোধিতা করলেও সেটা করতেই হবে। উল্লেখ্য, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্ত দফতরকে দিয়ে সিসিটিভি বসানোর কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু, পূর্ত দফতর তাতে আগ্রহ না দেখানোয় ওয়েবেলকে দিয়ে এই কাজ করাবে বিশ্ববিদ্যালয়। 

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)