• ইন ফ্লাইট সাট ডাউনের পরেও! ১১টার মধ্য়ে ৫টা ইঞ্জিনকে সরিয়েছে ইন্ডিগো: DGCA
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ইন ফ্লাইট সাট ডাউন। গত ২৯ অগস্ট দুটি ইন ফ্লাইট সাট ডাউনের ঘটনা হয়েছিল। এভিয়েশন রেগুলেটর ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন এনিয়ে ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক প্র্যাট অ্যান্ড হোয়াইটনিকে চিঠি দিয়ে উল্লেখ করেছিল বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। বৃহস্পতিবার ডিজিসিএ জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ১১টি PW ইঞ্জিনে প্রভাব পড়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ইঞ্জিনকে সরানো হয়েছে।

    এদিকে চলতি বছরের জুলাই মাসে প্র্যাট অ্যান্ড হোয়াইটনি গোটা বিশ্বজুড়ে ২০০টি ইঞ্জিন নিয়ে দেখা করতে বলেছিল। প্রথম পর্যায়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে এই প্রভাবিত হওয়া ইঞ্জিনগুলি সরানো দরকার।

    বৃহস্পতিবার ডিজিসিএ আধিকারিক জানিয়েছেন, এর জেরে ইন্ডিগোর ১১টা ইঞ্জিন প্রভাবিত হয়েছিল। PW AOG( এয়ারক্রাফট অন গ্রাউন্ড) এর অন্তর্গত রয়েছে ৬টি ইঞ্জিন। আর মাত্র ৫টি অপারেটিং ইঞ্জিন ১৫ সেপ্টেম্বরের আগে সরানো হয়েছে।

    তবে ডিজিসিএ জানিয়েছে, ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক সোমবার জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তত ৬০০টি ইঞ্জিনকে সরাতে হবে। এটা ২০২৩ সাল থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে করতে হবে।

    এদিকে ইন্ডিগোর A321 Neo এয়ারক্রাফটে দুটি ঘটনা হয়েছিল। একটি ছিল মাদুরাই থেকে মুম্বইগামী বিমান। আর অপরটি ছিল কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু। এই বিমানগুলিতে প্রচন্ড কাঁপুনি, একটি ইঞ্জিনে তেলের চাপ কিছুটা কমে গিয়েছিল। মুম্বই এয়ারপোর্টে নামার পরে অয়েল চিপ ডিটেক্টরে ধাতব চিপের অস্তিত্ব দেখা যায়।

    রবিবার ৩ সেপ্টেম্বর একই ধরনের ঘটনা হয় অমৃতসর থেকে দিল্লি যাচ্ছিল ইন্ডিগোর বিমান। ২ নম্বর ইঞ্জিনে তেলের চাপ কম রয়েছে বলে বোঝা যায়। এরপর ফের অমৃতসরে ফিরিয়ে আনতে হয় বিমানটিকে।

    ডিজিসিএ জানিয়েছিল বাইরের দিকে তেল লিক হচ্ছিল। তবে কোনও কাঁপুনি বা অয়েল চিপ ছিল না। এরপরই এয়ারলাইন্স বোরোস্কোপিক ইনস্পেকশন করে। ২৯ অগস্টের ঘটনার কোনও বড় ত্রুটি ধরা পড়েনি ইঞ্জিনে।

    প্রসঙ্গত বিমানের ইঞ্জিন চলতে চলতে যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন সেটাকে সাধারণত ইন ফ্লাইট সাট ডাউন বলে উল্লেখ করা হয়। নানা কারণে এটা হতে পারে। যান্ত্রিক ত্রুটি, জ্বালানির অভাব, পাখির সঙ্গে আঘাত লাগা তেল লিক করা সহ নানা কারণে এটা হতে পারে বলে খবর।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)