বাড়ি দূরে, তাই রান্না পুজোয় বিপুল আয়োজন ওদের জন্য! মেনুতে কী কী ছিল?
এই সময় | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রান্না পুজো, গ্রাম বাংলার এই উৎসবে দল বেঁধে খেতে যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। যদিও গ্রাম বাংলার এই আনন্দ থেকে সাময়িকভাবে বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল উলুবেড়িয়ার জগতপুরের আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলের ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর। কারণ তারা সকলেই বিশেষভাবে সক্ষম। এইসব ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেউ দৃষ্টিহীন, কেউ আবার মূক ও বধীর। স্বভাবতই রান্না পুজোর দিন বাড়ি যেতে না পারায় মনটা কিছুটা হলেও খারাপ হয়েছিল সেই সব বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের।এবার তাই সেই সব পড়ুয়াদের মন খারাপ দূর করতে সোমবার বিশেষ উদ্যোগ নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষ্যের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে স্কুলেই আয়োজন হল রান্না পুজোর। খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ৮ রকমের ভাজা, মাছের কালিয়া আর আমের চাটনি। আর বিশ্বকর্মার পুজোর দিন বিশেষ এই মেনুতে মুখে হাসি ফুটল স্কুলের বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের।স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় দাস বলেন, 'রান্না পুজো গ্রাম বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। আমাদের এই স্কুলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করে। পরীক্ষা থাকার পাশাপাশি দূরত্ব অনেকটাই বেশি হওয়ায়, ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময়ই বাড়ি গিয়ে আনন্দ করতে পারে না। তাই স্কুলের বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে রান্না পুজোর আনন্দটা ভাগ করে নেওয়ার জন্যই এই আয়োজন।' অন্যদিকে স্কুলেই রান্না পুজোর মেনু পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা। তাদের মতে, স্কুলে বসে বন্ধুদের সঙ্গে রান্না পুজোর এইরকম মেনু খাওয়ার মজাটাই আলাদা।ranna pujaranna pujaranna pujaএদিকে এই বছর নিম্নচাপ ও কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জোড়া ফলায় সম্প্রতি উত্তাল হয়েছিল সমুদ্র। যার জেরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। ফলে রান্না পুজোর আগে ইলিশের আকাল তৈরি হয় বিভিন্ন বাজারে। খুচরো বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। অন্যদিকে, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের খোকা ইলিশ বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ফলে রান্না পুজোয় হেঁশেলে ইলিশের যোগান দিতে কার্যত নাভিঃশ্বাস ওঠে মধ্যবিত্ত বাঙালির। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হন মৎস্য ব্যবসায়ীরাও। কারণ রান্নাপুজোর সময় ইলিশের বাড়তি চাহিদা থাকে। কিন্তু এবার রান্নাপুজোর ঠিক আগেই সমুদ্র যাত্রার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় মাছ ধরতে পারেননি তাঁরাও।