জেল থেকে ডাকাতির ছক? সেনকোর ডাকাতিতে বড়সড় সাফল্য পুলিশের
এই সময় | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দিন কয়েক আগে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের জোড়া শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্য জুড়ে। নদিয়ার রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় ওই গয়না বিপণীর ২টি শোরুমে একই দিনে একই সময়ে চলে লুঠপাট। দুটি ঘটনাতেই চলেছে লাগাতার ধরপাকড়। তারমধ্যে পুরুলিয়ায় ওই সংস্থার গয়নার শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ।তবে পুলিশের মনে করছে, ওই ডাকাতির মূলচক্রী ইতিমধ্যে জেলে রয়েছে। কার্যত জেলের ভিতর থেকে তার কষে দেওয়া ছকেই ডাকাতি করতে একত্রিত হয় প্রতিবেশী দুই রাজ্যের দল। তাদের কেউ ভাল শ্যুটার, তো কারও কাজ ছিল শুধুই ঘটনাস্থলের রেইকি করা। আবার কারও দায়িত্ব ছিল অপারেশন হয়ে যাওয়ার পর দলের সদস্যদের জন্য সেল্টারের ব্যবস্থা করা। পুরুলিয়ার ওই ডাকাতির ঘটনায় সোমবার আরও তিন জনকে গ্রেফতারের পর এমনটাই দাবি জেলা পুলিশের।পুরুলিয়া জেলা পুলিশ মনে করছে, ওই ডাকাতদলের সঙ্গে আরও কয়েক জন যুক্ত রয়েছে। যে ভাবে বিহার থেকে ওমপ্রকাশ, হাজারিবাগ থেকে ডব্লিউ ও ছাতরা থেকে অজয়কে জালে তোলা হয়েছে, তাতে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাকিদের গ্রেফতারের বিষয়েও আশাবাদী পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, পুরুলিয়ার ওই ডাকাতির নেতৃত্বে ছিল ওমপ্রকাশ। তবে আসল ছক ছিল অন্য কোনও ব্যক্তির, যে ইতিমধ্যে জেলেই রয়েছে। সেখান থেকে যোগাযোগ করে পুরো অপারেশনের নেতৃত্ব দেয় সে। তদন্তের স্বার্থে অবশ্যে তার নাম এখনই প্রকাশ্যে আনছে না পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনায় রানাঘাটকাণ্ডে গ্রেফতার কুন্দনেরও যোগও রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগাস্ট দুপুরে প্রায় একই সময়ে একই সংস্থার দুই ভিন্ন শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুটি শোরুম থেকেই প্রচুর নগদ টাকা এবং গয়না লুট করা হয়। নদিয়ার রানাঘাটে ডাকাতির পর পরই চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার হয় মূলচক্রী অর্থাৎ ডাকাত সর্দার কুন্দন । কিন্তু পুরুলিয়ায় ডাকাতির পর দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে বেশ কিছুটা সময় নেয় পুলিশ। প্রথমে পাকড়াও করা হয় করণজিৎ সিংহ সাধু এবং বিকাশ কুমারকে। এরপর সোমবার ওমপ্রকাশ প্রসাদ, ডব্লিউ সিংহ এবং অজয় যাদব নামে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে লুটের নগদ টাকা এবং গয়না মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ।