• Abhishek Banerjee News : অভিষেকের সম্পত্তির হিসেবে বিস্তর খামতি! লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি সিনহা
    এই সময় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সংস্থার কর্তাদের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে সন্তুষ্ট নন কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার সিইও ও ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান জমার কথা বলা হয়। ED-র জমা দেওয়া সেই সম্পত্তির খতিয়ান দেখে এদিন কার্যত তদন্তকারী সংস্থাকে তিরষ্কার করেন। ED-কে তিরস্কার করার পাশাপাশি একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।ED-র আধিকারিকদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, 'আপনারা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েত ৩টি জীবন বিমা রয়েছে। আর কোনও সম্পত্তি নেই। তিনি সাংসদ। তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই এটা কী হতে পারে? সাংসদ হিসেবে পাওয়া তাঁর বেতন তাহলে কোথায় জমা পড়ে?' বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে ইডি জানায় অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তখন বিচারপতি পালটা বলেন, 'সেই তথ্য তাহলে জমা দেননি কেন? আপনার কী পোস্ট অফিস? এখন তো মনে হচ্ছে আপনারই তথ্য গোপন করছেন।'সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত ED আধিকারিকদের কার্যত তুলোধনা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এমনকী ইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তদন্তকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলে, '১৮৮-এ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িটি কার মালিকানাধীন আপনার জানেন? সম্পত্তির খতিয়ানে তাঁর কোনও উল্লেখ নেই কেন? ৩০, বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট কার ঠিকানা সেই উল্লেখ নেই। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সবরকম ব্যবসা করে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন কোন ব্যবসা, তার উল্লেখ নেই। কোম্পানির ডিরেক্টরের ট্রানজেকশন কোনও হিসেবও নেই।'এদিনের শুনানির পর ED-কে হাইকোর্টের নির্দেশ, 'কোম্পানির বিস্তারিত তথ, কত টাকার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি জমা দিতে হবে। সংস্থার মূল্য নির্ধারণ করে খতিয়ে দেখে এই তথ্য দিতে হবে। একই সঙ্গে যাঁরা সংস্থার রোজকার কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরও তথ্য দিত দিতে হবে। সুজয় কৃষ্ণভদ্রের হিসেব দেওয়া হয়েছে। সংস্থায় লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে। ROC র তথ্য র সঙ্গে বাস্তবে কোনও তথ্য বদল হলে তাও জানাতে হবে। 'এই মামলার তদন্তে ED-র তরফে অতিরিক্ত লোকবল দাবি করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী শুনানিতে এই কথা জানাতে হবে। তদন্ত নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, '১৮ মাস ধরে এই তদন্ত চলছে। কিন্তু কোনও ফল নেই। ইডি এই ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ করুক। কী কী করলে তাঁদের সুবিধা হবে, তা দেখে ব্যবস্থা নিক। আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানির দিন ED-কে জানাতে হবে। সিবিআই কে তাদের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে ওইদিন।'
  • Link to this news (এই সময়)