• 'ঋষি সুনক একজন হিন্দু, ভারতের মন্দিরে তাঁর প্রণাম করা...', মুখ খুলল ব্রিটেন
    Aajtak | ০৪ অক্টোবর ২০২৩
  • G-20 সম্মেলনে ভারত সফরে এসে অক্ষরধাম মন্দিরে গিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি মন্দির পরিদর্শনের পর প্রণাম করেন। প্রদীপও জ্বালান। যা বেশ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল বিশ্বে। ঋষি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েও ভারতে এসে হিন্দু ধর্মের প্রতি যে নিষ্ঠা, তা প্রশ্নের মুখে পড়বে না তো ? সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন অনেকে। তা নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন ভারতে ব্রিটেনের হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস। মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত 'ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ'-এ তিনি এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন। ঋষির প্রণাম করা ও হিন্দু ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা প্রদর্শনতে ব্রিটেনের মানুষ কীভাবে দেখছে, তাও জানান অ্যালেক্স এলিস। 

    এলিস জানান, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী হিন্দু। তা নিয়ে ব্রিটেনের মানুষের কোনও আপত্তি নেই। ঋষি অক্ষরধাম মন্দিরে গিয়েছিলেন। এই বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন ব্রিটেন ? তার উত্তরে অ্যালেক্স বলেন,'ঋষি সুনক এবং তাঁর স্ত্রী ভারতে এসে মন্দির পরিদর্শনে যান। এই ঘটনা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর আমি নিজেও তা দেখেছি। ঋষি সুনক এবং অক্ষতার একসঙ্গে ভারতে আসার ঘটনা চমকপ্রদ। তাঁদের এই সফর অন্য মাত্রা পেয়েছে। ঋষি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে থাকেন। সেই তিনি যখন অন্য দেশে গিয়ে নিজের ধর্মের দেবতার প্রতি নিষ্ঠা দেখান তখন তা অনেক কিছুকেই ইঙ্গিত করে। ব্রিটেন একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এই বার্তায় দিতে চেয়েছেন ঋষি।' 

    অ্যালেক্স আরও জানান, সুনকের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ব্রিটেনের কোনও সমস্যা নেই। তিনি কোন ধর্মে বিশ্বাসী তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ব্রিটেনের মানুষ তাঁদের নেতার নেতৃত্ব ও সক্ষমতা দেখেন। 

    এলিসের কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি সুনক একজন হিন্দুও। একজন হিন্দু, হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। তিনি লাড্ডু পছন্দ করেন। একই সময়ে, তিনি একজন নেতা। যাঁর দিকে ব্রিটেনের মানুষ তাকিয়ে থাকেন।' 

    খালিস্তান ইস্যুতেও কথা বলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। ব্রিটেনে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে খালিস্তান সমর্থকদের অশালীনতা নিয়ে অ্যালেক্সকে প্রশ্ন করা হয়। তা নিয়ে অ্যালেক্স বলেন, 'যা হয়েছে, তা হওয়া উচিত হয়নি। ঋষি সুনক কখনও চরমপন্থার পক্ষে নন। আমরা এই মামলায় লোকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। সোমবার হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছিল এবং সেখান থেকেও আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। চরমপন্থা ভারতের সমস্যা নয়, এটি ব্রিটেনের সমস্যা।' 

    তিনি আরও বলেন, 'ব্রিটেনে যদি চরমপন্থা ছড়ায় তাহলে সেটা ব্রিটেনের সমস্যা, ভারতের নয়। আমাদের তরুণরা চরমপন্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা আমাদের সমাজের সমস্যা এবং আমরা এর মোকাবিলা করছি।' 

     
  • Link to this news (Aajtak)