• সিকিম থেকে শিলিগুড়ি নামার একটি রাস্তাই আপাতত সচল, ট্যুরিস্টদের বুকিং বাতিলের হিড়িক
    Aajtak | ০৪ অক্টোবর ২০২৩
  • Sikkim Flood: পুজো দোরগোড়ায়। বহু পর্যটকের ইতিমধ্যে সিকিমে যাওয়ার প্ল্যান রেডি। এখনও বহু পর্যটক সিকিমে রয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে হড়পা বানে প্লাবিত উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। তিস্তা ফুঁসছে। পশ্চিমবঙ্গের যে সব পর্যটকরা সিকিমে আটকে পড়েছেন, তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে একটি রাস্তাই খোলা। জোড়থাং হয়ে ভায়া সিংতাম  একটি রাস্তা রয়েছে, যেটি অপ্রচলিত এবং অপরিসর। আপাতত সেখানে দিয়েই অল্প গাড়ি চলাচল করলেও বিপুল পরিমাণ পর্যটক যাতায়াতের জন্য তা অপ্রতুল। উত্তর সিকিমের চুংথাংয়ের সঙ্গে বাকি গোটা এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। 

    সিকিমে আটকে থাকা বাংলার পর্যটকরা কীভাবে শিলিগুড়ি পৌঁছবেন?

    এই মুহূর্তে গোটা সিকিমে প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্র্যাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানাচ্ছেন,উত্তর সিকিম এবং গ্যাংটকে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাইরের বহু পর্যটক রয়েছেন। তবে তাঁরা নিরাপদে আছেন। তবে শিলিগুড়ি নেমে আসার একটি বাদ দিয়ে বাকি সব রাস্তা বন্ধ। একমাত্র জোড়থাং হয়ে সিংতাম হয়ে একটি রাস্তা রয়েছে যেটি অপ্রচলিত এবং অপরিসর। আপাতত সেখানে দিয়েই অল্প বিস্তার গাড়ি চলাচল করলেও বিপুল পরিমাণ পর্যটক যাতায়াতের জন্য তা অপ্রতুল। আপাতত সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। 

    বুকিং বাতিলের হিড়িক 

    সিকিম প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম বা সিকিম থেকে কোনও পথেই শিলিগুড়িতে পর্যটকদের নামানো হচ্ছে না। টানা বৃষ্টি চলছে। তার ফলে রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। যার কারণে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেউই। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও পর্যটকের কোনও রকম ক্ষতির খবর নেই। এদিকে একের পর এক বুকিং বাতিলের হিড়িক শুরু হয়েছে। পর্যটন অপারেটররা সিকিম থেকে দার্জিলিং বা এ রাজ্যের অন্য জায়গা কিংবা নেপাল, ভুটানে পর্যটকদের পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। তবে যারা একেবারেই যেতে চাইছেন না, তাঁদের বুকিং বাতিল করা ছাড়া উপায় নেই। 

    গ্যাংটকের এসপি তেনজিং লদেন লেপচা জানিয়েছেন, সিংতাম ও রংপোয় আটকে পড়াদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। সব বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যেন উদ্ধারকারী দলকে সহযোগিতা করেন। 
     কালিম্পং যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ

    অন্যদিকে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ। ১০ নং জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কালিম্পং যাওয়ার জন্য লাভা, গরুবাথান হয়ে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই সিকিমে বহু পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা। সিকিম থেকে ঘুরপথে ফিরতে গেলে আরও ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিকে ২৯ মাইলে, মলিবাজারের কাছে জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে৷  লিকুভিরের কাছেও জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে৷ 
  • Link to this news (Aajtak)