• Disease X : কোভিডের থেকে ভয়ঙ্কর এক্স! মোকাবিলায় কোমর বেঁধে কেন্দ্র, উৎসবের মুখেই কড়া বিধি-নিষেধ?
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৩
  • কোভিডের থেকেও মারাত্মক কোনও অসুখ হানা দিতে পারে ফের। কোভিডের তুলনায় আরও বেশি ভয়ানক। আর এটি কোভিডের থেকেও ২০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী হতে চলেছে। এমনই সতর্কতা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য় দফতর।কোভিডের চেয়েও আরও বেশি মারাত্মক ভাইরাসকে সম্মোধন করা হচ্ছে এক্স ডিজিজ হিসেবে। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে যে মারণ স্প্যানিস ফ্লু ছড়িয়েছিল।এবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাইরাসকে এক্স বলে সম্মোধন করা হচ্ছে ব্রিটেনের তরফে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই মারণ ভাইরাসকে এক্স বলে সম্মোধন করা হয়।এক্স যাতে মহামারীর আকার ধারণ করতে না পারে তার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এক্স রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ক্রমাগতই আবহাওয়ার চরিত্র বদল হচ্ছে। ক্রমেই ফণা তুলছে জুনোটিক রোগ (পশুবাহিত রোগ)। বাদুর থেকে যে ধরনের রোগ ছড়ায় সেই রোগের ভাইরাস, নিপা ভাইরাস, করোনা ভাইরাস নিয়ে এখনও গবেষণা চলেছে। ভাইরাসগুলি চরিত্র বিশ্লেষণে এখনও অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।অনেকে মনে করেন প্রতি ১০০ বছরে মহামারী দেখা দেয়। তবে বিষয়টির সঙ্গে একমত নন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে এরকম নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ নেই যে ১০০ বছর পরেই আবার মহামারী দেখা দেবে। আর এখন বর্তমানে বিজ্ঞানীদের চিন্তা বাড়াচ্ছে এক্স ডিজিজ। এক্স-কে ঠেকাতে আগাম পদক্ষেপ করছে ভারত। রোগ সামাল দিতে সতর্কতা অবলম্বনের তালিকায় রয়েছে একাধিক ইস্যু।উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন জায়গায় ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা। আর তাতেই বাড়তে পারে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। আর তা যাতে না হয় তার জন্য ইতিমধ্য়েই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সরকার। সকলের মধ্যে সচেতনার মূলক পাঠ দানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।এক্স-কে ঠেকাতে সবার আগে প্রয়োজন স্বাস্থ্য বিষয়ক নজরদারি। বাস্তুতন্ত্রের প্রতিটি জীবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অপর জীবের সম্পর্ক। খাদ্য-খাদকের সম্পর্ক। মানুষ, প্রাণী এবং বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক। তিন এই সত্তার পারস্পরিক সংযোগ বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশক। জুনোসিরের সম্ভাবনা যেহেতু আগেই লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাই সেক্ষেত্রে কোনও রোগ প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সঞ্চালিত হচ্ছে কি না সে বিষয় নজর রাখা হচ্ছে।করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য় সবাই মনে রেখেছে কেরালাকে। করোনাকে ঠেকাতে সকলের মিলিত প্রচেষ্টাই ছিল সম্বল। কী ভাবে একটি রোগকে ঠেকাতে প্রথম থেকেই সকলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল সেরাজ্যের নাগরিকরা ত সত্যি শিক্ষণীয়। অন্য় রাজ্যের তুলনায় তাই সেখানে সংক্রমণের হারও ছিল তুলনামূলক কম। কোনওটি একটি রোগ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়লে সে রাজ্যের বাসিন্দাদেরও সতর্ক হতে পারে। মিলিত প্রচেষ্টায় সেই রোগকে ঠেকানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর তার জন্য সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। ঠিক যেমনটা করেছিল কেরালা। সাধারণ মানুষের মধ্যে জুনোটিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদেরও এই রোগ সম্পর্কে পাঠ দেওয়া উচিত। পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যকর্মী ও আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এই ধরনের রোগকে ঠেকাতে। আর এই কাজগুলি বাস্তবায়নে সরকার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টি ভাইরাস তৈরিতে ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্থান দখল করেছে। তবে এক্স ডিজিজের প্রকোপ থেকেও কী ভাবে বাঁচা যায় তা জানতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ফার্মা-মেডটেক সেক্টরে গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন এবং ফার্মা-মেডটেক (পিআরআইপি)-তে গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রচারের জন্য জাতীয় নীতি চালু করেছে। অ্যান্টি ভাইরাস আবিষ্কারের উপর জোর দিচ্ছে ভারত। এক্স-কে ঠেকাতে যাতে আগে থেকেই অ্য়ান্টি ভাইরাস বের করা যায় তার জন্য়ও চেষ্টা চলছে।ভারত ডিজিজ এক্স এর প্রাদুর্ভাব রোধ করার লক্ষ্যে জিনোমিক নজরদারি সংস্থা INSACOG এর পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জানিয়েছেন সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক ডঃ এনকে আরোরা। INSACOG বিভিন্ন রোগ-জীবানুর প্রাদুর্ভাব ও সেগুলিকে কী ভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়ে কাজ করে। জেলা পর্যায়ে এই রোগজীবাণুগুলি পর্যবেক্ষণ করতে এবং নজরদারি বাড়ানো সহ দলটি নগর উন্নয়ন, গ্রামীণ এবং পঞ্চায়েত এবং অন্যান্য সংস্থা সহ বিভিন্ন রাজ্য বিভাগের সাথে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন রাজ্যে ভবিষ্যতের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্রোগ্রাম তৈরি হচ্ছে।এককথায় বলা যায় ভারত পরবর্তী মহামারীর আশঙ্কায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)