• ফের সোনার দোকানে লুঠপাট, আধঘণ্টার মধ্যে পুলিশের জালে 'বাছাধন'রা
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৩
  • গ্রাহক সেজে সোনার দোকানে ঢুকে লুঠপাট। গয়না ছিনতাই করে পালাল দুই দুষ্কৃতী! ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে গ্রাহক সেজে সোনার দোকানে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ সোনার হার নিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। এমন ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গড়বেতা বাজার এলাকায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় গড়বেতা থানায়। ঘটনার পর বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে লাগানো সিসিটিভি খতিয়ে দেখে পুলিশ কর্মীরা। পাশাপাশি সতর্ক করা হয় বিভিন্ন এলাকার নাকা পয়েন্টগুলিকে। চন্দ্রকোনা রোডের কেয়াবনি এলাকায় থাকা নাকা পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের নজরে আসে দুষ্কৃতীদের গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। পাকড়াও করা হয় তাদের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ধৃতদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগর থানা এলাকায়।সম্প্রতি খড়গপুর শহরের গোল বাজারে রীতিমতো গুলি চালিয়ে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাত দল। পুলিশের তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জালে ধরা পড়ে ডাকাতরা। এই ঘটনার পর ফের দুষ্কৃতীদের টার্গেট সোনার দোকান। সেক্ষেত্রে সোমবারের ঘটনায় ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে দুই দুষ্কৃতীকে।প্রসঙ্গত, গতমাসের শেষে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহরে। ডাকাতির ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, খড়গপুরের গোলবাজারে একটি সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ৫ সদস্যের এক ডাকাত দল লুঠপাট চালায়। বাধা পেয়ে সোনা দোকানের মধ্যেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ডাকাত দলটি । তারপর পর সেখান থেকে চম্পট দেয় ডাকাত দল। দ্রুত ডাকাত দলকে ধাওয়া করে পুলিশ।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশকে জানানো হয় যে দুষ্কৃতীদের দলটি ঝাড়গ্রামে প্রবেশ করতে পারে। সেই মতো ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে যে ডাকাত দলটি জাতীয় সড়ক ধরে গোপীবল্লভপুরের ওপর দিয়ে ওড়িশার দিকে পালিয়ে যেতে পারে। সেইমতো বেলিয়াবেড়া থানার রন্টুয়া এলাকায় ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের অপেক্ষা করতে থাকে। তারপর ধানক্ষেত থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
  • Link to this news (এই সময়)