• Kamduni: মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে, কামদুনিকাণ্ডে ছাড়া পেল ৪ অভিযুক্ত..
    ২৪ ঘন্টা | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • বিক্রম দাস: কামদুনিকাণ্ডে জেলমুক্তি। সু্প্রিম কোর্টে যেদিন স্পেশাল লিভ পিটিশন(SLP) দায়ের করল রাজ্য, সেদিনই ছাড়া পেল ৪ অভিযুক্ত। 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ওরা জেলে থেকে ছাড়া পেল', বললেন শুভেন্দু অধিকারী। 

    কামদুনিকাণ্ডে 'লঘু দণ্ড'। ক্ষোভে ফুঁসছেন নির্যাতিতার পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীরা। চুপ করে বসে নেই রাজ্য সরকারও। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। কবে? আজ, সোমবার ভোরে। মামলাটির শুনানি হয়েছে বিচারপতি গাওয়াইয়ের এজলাসে। জেল সুপারের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্তদের শোকজ নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সময়সীমা ১ সপ্তাহ।এদিকে কামদুনিকাণ্ডে  নিম্ন আদালতে যার ফাঁসি সাজা হয়েছিল, তাকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী, সাজা কমে যাওয়ায় খালাস পেয়ে গিয়েছে আরও ৩ জন। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এদিন সন্ধেয় প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগার থেকে গাড়ি চড়ে বেরিয়ে যায় ওই ৪ জন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'রাজ্য সরকার SLP করেছে। লোক দেখানো, চাপে পড়ে। এদের তো দিল্লিতে আইনজীবী দেওয়া উচিত। সেটা আমরা দেব। শ্রীমতী বাঁশরি স্বরাজ মামলা লড়বেন। দরকার হলে আরও সিনিয়র আইনজীবী, আমরা দেব। যা খরচ, আমরা বহন করব। রাজ্য সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি। আপাতত বেসরকারি সংস্থার থেকে নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করব'।রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন করা হয় এক ছাত্রী। কবে? ২০১৩ সালের ৭ জুন। সেই ঘটনার কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্যে। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।অভিযুক্ত ছিল মোট ৯ জন। কিন্তু নিম্ম আদালতে মামলা চলাকালীনই মৃত্যু এক অভিযুক্তের। বেকসুর খালাস পেয়ে যায় আরও ২ জন। কলকাতায় নগর দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় বাকি ৬ জন। ৩ জনকে মৃত্য়দণ্ড, আর ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এরপর যে ৬ জন দোষী সাব্যস্ত হয়, হাইকোর্টে সাজা কমানোর আবেদন জানান তারা। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)