• Property Tax : সল্টলেকের ৪টি ওয়ার্ড সম্পত্তিকরের আওতায়
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • থাকদাঁড়ি, ছয়নাভি, নয়াপট্টি, মহিষবাথানের মতো এলাকার বাসিন্দাদের থেকে শীঘ্রই সম্পত্তিকর নেওয়া শুরু করতে চলেছে বিধাননগর পুরনিগম। এই এলাকাগুলির মধ্যে থাকদাঁড়ি দীর্ঘদিন ধরে ছিল পঞ্চায়েতের আওতায়। বাকি এলাকাগুলি ছিল রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার মধ্যে। ২০১৫ সালে এই এলাকাগুলি বিধাননগর পুরনিগমের আওতায় এনে নতুন করে তৈরি করা হয় ৪টি ওয়ার্ড।কিন্তু, সেখানকার বাসিন্দারা পুরনিগমের মধ্যে এলেও শুধুমাত্র জমির আয়তন হিসেবে খাজনা জমা করে করতেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে। নানা কারণে তাঁদের এতদিন সম্পত্তিকরের আওতায় আনা যায়নি বলে দাবি সম্পত্তিকর মূল্যায়ন বিভাগের কর্তাদের। কী সেই কারণ? পুরনিগমের কর্তারা জানাচ্ছেন, ওই চারটি মূলত কলোনি এলাকা। ফলে, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার বাসিন্দাদের যত দ্রুত নতুন করের আওতায় আনা গিয়েছিল এক্ষেত্রে তা হয়নি।কারণ, কলোনি এলাকার জমিতে পুরকর বসানোর ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম মানতে হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ভ্যালুয়েশন বোর্ড থেকে অনুমতি নেওয়া ছাড়াও বাড়ি-বাড়ি কর মূল্যায়ন করতেও দীর্ঘ সময় লেগেছে। এবার থেকে সম্পত্তিকরের পাশাপাশি ওই এলাকার বাসিন্দাদের খাজনাও দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পুরনিগমের কর্তারা।প্রশ্ন উঠছে, সল্টলেকের বাসিন্দাদের তো সম্পত্তিকরের বাইরে আর কোনও কর দিতে হয় না। তাহলে একই পুরনিগমের বাসিন্দা হলেও কেন থাকদাঁড়ি, ছয়নাভি, নয়াপট্টি, মহিষবাথানের ক্ষেত্রে পৃথক নিয়ম? এ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুরনিগমের এক কর্তা বলেন, ‘মূল সল্টলেকের বাসিন্দারা যে জমির উপর বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকেন তা পুর দপ্তরের আওতাধীন। সেকারণেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর এই জমি থেকে খাজনা নেয় না।’তবে, রাজারহাট-গোপালপুর-সহ রাজ্যের সব পুরসভার বাসিন্দাদেরই সম্পত্তিকরের বাইরে খাজনা দিতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু কলকাতা পুরসভার ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ড। ব্রিটিশরা পুরসভা পরিচালনা করার সময় কলকাতার ক্ষেত্রে খাজনা চালু করেননি। পরবর্তীতেও এই নিয়ম পরিবর্তন হয়নি। সে কারণে এখনও ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের শুধু সম্পত্তিকর দিতে হয়। তবে, অন্যান্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সম্পত্তিকরের বাইরে খাজনাও দিতে হয়।বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ভ্যালুয়েশন বোর্ড থেকে অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। খুব শীঘ্রই ৪ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সম্পত্তিকরের বিল পাঠানো শুরু হবে। এতে আয়ও বাড়বে।’সম্পত্তিকরের আওতায় আসছে যে ওয়ার্ড ২৭, ২৮, ৩৫, ৩৬। বর্তমানে সম্পত্তিকরের আওতায় সল্টলেকে ৫৭ হাজার বাসিন্দা। রাজারহাট -গোপালপুরে ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দা। করের আওতায় নতুন করে নথিভুক্ত ১৯ হাজার ৩০০ জন। সম্পত্তিকর বাবদ বর্তমানে আয় ৩৫ কোটি। চারটি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় আয় বাড়বে ৪৭ লক্ষ টাকা।https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)