• অগাস্টেই ইজরায়েলে হামলার নীল নকশা তৈরি! হামাসকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিল কে?
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • ক্রমশ ভয়ংকর রূপ ধারন করছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। গাজা স্ট্রিপে লাগাতার এয়ার স্ট্রাইক চালাচ্ছে ইহুদি সেনা। পাল্টা সেখান থেকে উড়ে আসছে জঙ্গিদের ছোড়া রকেট। যা নিষ্ক্রিয় করতে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম 'আয়রন ডোম' ব্যবহার করছে ইজরায়েলি ফৌজ। কিন্তু কী ভাবে প্যালেস্টানিয় জঙ্গিরা এতো বড় হামলা চালাল? কোথায় ছিল গোয়েন্দা ব্যর্থতা? যুদ্ধের মধ্যেই চলছে তার চুলচেরা বিশ্লেষণে।ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা 'মোসাদ'-র দাবি, হামাসের এই হামলার নেপথ্য়ে হাত রয়েছে ইরানের। ইহুদি ভূমিকে রক্তাক্ত করতে হেজবুল্লা ও হামাস নামের দু'টি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মেলায় তেহেরান। এর জন্য জলের মতো টাকা খরচ করেছে আব্রাহাম রাইসির সরকার।সূত্রের খবর, চলতি বছরের অগাস্টেই ইজরায়েলের উপর হামলার পরিকল্পনা করে ইরান। সেই মতো ইহুদিদের প্রতিবেশী দেশ লেবাননের রাজধানী বেইরুটে একটি গোপন বৈঠক করেন ইরান রেভলিউশনারি গার্ডের (ইরানের সেনাবাহিনী) পদস্থ কর্তারা। সেখানেই তৈরি হয় ৭ অক্টোবরের আক্রমণের নীল নকশা।উল্লেখ্য, ইজরায়েলের উপর হামলা চালাতে 'কাসেম' ও 'সালভো' নামের দু'ধরনের রকেট ব্যবহার করেছে হামাস। মোসাদ-র দাবি, গুপ্তপথে এই দুই মারণাস্ত্র প্যালেস্টাইনি জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ইরান। উল্লেখ্য, এর আগেও গাজা স্ট্রিপ থেকে এই রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে হামাস। তবে তা এতোটা তীব্র ছিল না। গত কয়েক বছরে রকেটগুলির পাল্লা বাড়ানোর পিছনেও রয়েছে তেহেরানের গবেষকদের হাত, দাবি মোসাদের।ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইহুদি ভূমিতে হামলা চালাতে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে ইরান। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। সরাসরি এই টাকা হামাসকে দেওয়া হয়নি। প্রথম এই টাকা হাতে পায় হেজবুল্লা নামের জঙ্গি সংগঠন। তাদের থেকে পরে ঘুর পথে যা পৌঁছয় হামাসের হাতে।পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতি থেকে শুরু করে সেনা অপারেশন বা গুপ্তচর সংস্থাগুলির কাজের পদ্ধতি -- নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণামূলক কাজ করছেন কাজল ভট্টাচার্য। এই সংক্রান্ত একাধিক বই রয়েছে তাঁর। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ইরানেও ছড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।কাজল ভট্টাচার্যর কথায়, "গাজা স্ট্রিপের মতো ছোট্ট জায়গা থেকে হামাসের পক্ষে এতো বড় হামলা চালানো মোটেই সম্ভব নয়। ইজরায়েলি গুপ্তচররা এই জঙ্গি সংগঠনের দাঁত-নখ আগেই ভেঙে রেখেছে। অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড দেখে মনে হচ্ছে পিছন থেকে কলকাঠি নারছে হেজবুল্লা। যাদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক বহুদিনের। আল কায়দার থেকে কোনও অংশে কম কুখ্য়াত নয় এই সন্ত্রাসী সংগঠন।"প্রসঙ্গত, এই ইস্য়ুতে ইতিমধ্য়েই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল। সোমবার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় এয়ারস্ট্রাইক করে ইহুদি বায়ুসেনা। লেবানন সীমান্তে উড়িয়ে দিয়েছে হেজবুল্লার ওয়াচ-টাওয়ার। "যে কোনও মুহূর্তে ইজরায়েলের দিক থেকে ইরান আক্রমণ খুব অসম্ভব নয়", বলছেন মধ্য় প্রাচ্যের রাজনীতির গলি ঘুঁজির খোঁজ রাখা কাজল ভট্টাচার্য। https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)