• লালন-মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত নয়: শীর্ষ আদালত
    আনন্দবাজার | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • সিবিআই হেফাজতে বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে ওড়িশার মতো ভিন্ রাজ্যের কোনও পুলিশকর্তাকে নিয়োগ করা হতে পারে। আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ এই ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছে, সিবিআই কোনও ভাবেই নিজের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করতে পারে না।

    গত বছর মার্চে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখ নিহত হন। তার পরে বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় দশ জনের। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সিবিআইয়ের খাতায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। লালনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

    হাই কোর্ট এই মৃত্যুর তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল। সিটের অফিসারেরা সিবিআইয়ের দুই কনস্টেবলের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। উল্টে সিবিআই এই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।

    আজ সিবিআইয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু যুক্তি দেন, অন্য কাউকে তদন্তের ভার দেওয়ার দরকার নেই। এটা পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু বা ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’ নয়। বিচারপতিরা জানান, এটা ‘ডেথ ইন কাস্টডি’-র ঘটনা। সিবিআই এখানে কাঠগড়ায়। নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। প্রয়োজনে ওড়িশার মতো ভিন্ রাজ্য থেকে উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাকে সিট-এ রাখা যায়। সিবিআইকে তদন্ত করতে দেওয়া যায় না।

    রাজু বলেন, ‘‘আমরাও নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আপনারা জানেন, আমাদের নতুন করে বলার কিছুই নেই৷’’ বিচারপতি খন্না এতে মন্তব্য করেন, ‘‘সবেতেই রাজনীতি ঢুকছে।’’ সুপ্রিম কোর্ট সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেছে। ৩০ অক্টোবর এই মামলার ফের শুনানি হবে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)