• Calcutta High Court : মস্তানি করবেন না! হাইকোর্ট সতর্ক করল পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের অধ্যক্ষকে অপসারণ সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানানো হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে। তবে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তিনটি ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়াল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে অপসারিত অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার তরফে এদিন আবেদন করা হয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে।এই বেঞ্চে এদিনই মামলাটি শুনানির জন্য তালিকায় ওঠে। তবে তারপরে এই বেঞ্চ ব্যক্তিগত কারণে মামলা থেকে সরে দাঁড়ায়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে মামলাটি যায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনি বেলা তিনটেয় মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। এবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি গেলে ওই বেঞ্চও একই পথে হাঁটে।প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র চার কর্তাকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ মামলা শুনতে অস্বীকার করেছিল হাইকোর্টের তিনটি ডিভিশন বেঞ্চ। সেক্ষেত্রেও সিঙ্গল বেঞ্চ হিসেবে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই। এদিন কোনও ডিভিশন বেঞ্চ আপিল মামলা না নেওয়ায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজ সংক্রান্ত মামলার শুনানি এগিয়ে নিয়ে যান।ওই কলেজে অশান্তি করার অভিযোগে পাঁচ বহিরাগতকে কলকাতা পুলিশ হাজির করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। আদালত তাঁদের নাম ও ঠিকানা জেনে ওই কলেজের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের সূত্র জানতে চায়। সকলেই জানান, তাঁরা আইন কলেজের কেউ নন। তাঁরা ওই কলেজের সাধারণ বিভাগের প্রাক্তনী। এঁদের একজন আবার রাজ্যের শাসক দলের দক্ষিণ কলকাতা যুব সংগঠনের সহসভাপতি।বিচারপতি কিছুটা সতর্ক করার সুরে তাঁদের বলেন, ‘মস্তানি করবেন না, দিনকাল খুব খারাপ। আগামী ছ’মাস যেন কলেজের ত্রিসীমানায় আপনাদের দেখা না যায়।’ তাঁদের মধ্যে আবার বিতর্কিত দুই ছাত্রকে উদ্দেশ করে বিচারপতির মন্তব্য, ‘বাড়িতে থাকতে চান, না অন্য কোথাও পাঠাব?’ এই পাঁচ ছাত্রছাত্রী আগামী ছ’মাস যাতে কলেজের আশেপাশে যাতে না যান, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই মামলার প্রেক্ষিতেই কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা ও অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুকে অপসারণ করেছিল আদালত।সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জের মামলাই এদিন শুনতে অস্বীকার করে তিনটি ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালত যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের টিচার-ইন-চার্জের দায়িত্ব দেয় প্রফেসর মাজুল হককে। তিনি আদালতের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন। অধ্যক্ষের ঘরের সিল হওয়া তালা খোলার সময়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুনন্দা ও আদালতনিযুক্ত স্পেশাল অফিসার অর্ককুমার নাগকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)