• Railpukur United CLUB : ৫০০ কেজির অভিনব গাছের দুর্গায় চক্ষুদান, রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাবে
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • চার মাস লেগেছে প্রতিমা তৈরি করতে। প্রতিমাশিল্পী উৎপল ঘোষকে পরিশ্রম কম করতে হয়নি। নানা গাছের ডাল, শিকড়, গুঁড়ি আর গাছের ছাল জোগাড় করতে হয়েছে তাঁকে। তার পর প্রচুর পরিমাণে গাছের আঠাও জোগাড় করতে হয়েছে। বাগুইআটি রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাবের উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা ছিল, এমন একটা প্রতিমা তৈরি করতে হবে, যেটি হবে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব এবং প্রতিমার সবটাই হতে হবে নানা ধরনের গাছের অংশ।সেই মতোই দুর্গার মুখ তৈরি হয়েছে গাছের গুঁড়ি খোদাই করে। সিংহের কেশর বানানো হয়েছে নানা গাছের শিকড় দিয়ে। প্রতিমার হাত তৈরিতে লেগেছে নানা গাছের ডাল। প্রতিমার গয়না তৈরি হয়েছে প্রতিমা তৈরির সময়ে পড়ে থাকা কাঠের টুকরো জুড়ে জুড়ে। ১২ ফুট উঁচু প্রতিমার মোট ওজন হয়েছে ৫০০ কেজি। কিন্তু কেন এমন প্রয়াস?৭০ তম বছরের পুজোয় বাগুইআটি রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাবের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, বাংলার বহু পুরনো পাটশিল্পকে সসম্মানে ফিরিয়ে আনতেই তাঁদের এমন পরিকল্পনা। এ বছর ওঁদের থিম ‘অপরাজিত’। পুজো কমিটির পক্ষে সোনাই সরকার বলেন, ‘পাটের ব্যবহার বলতে বহু বছর ধরে আমরা জানতাম চটের বস্তা আর পাটের দড়ি। কিন্তু পাটের ব্যবহার ওখানেই থেমে থাকেনি।এখন পাট থেকে পোশাক, জুতো, ব্যাগ—সবই তৈরি হচ্ছে।’ পুজো কমিটির আবেদন, পরিবেশের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর পলিভিনাইল ক্লোরাইড দিয়ে তৈরি বস্তা এবং অন্য সামগ্রীর বদলে নতুন করে পাটের ব্যবহার বাড়ানো হোক প্রশাসনিক স্তরেও। এই কারণেই দর্শনার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পরিবেশবান্ধব এমন অভিনব প্রতিমা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।সোমবার গাছ থেকে তৈরি এই প্রতিমারই চক্ষুদান করা হলো বিশেষ অনুষ্ঠানে। উদ্যোক্তাদের আশা, প্রতিমা নির্মাণের এমন অভিনব উপকরণের দৌলতে এ বার এখানকার মণ্ডপ নজর কাড়বে মানুষের।https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)