• WB Teacher Transfer Case : কেন ২০০ কিমি দূরের স্কুলে ট্রান্সফার, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে ২০১৭-র আগে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপাতত দূরের জেলায় বদলি করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজনে ওই শিক্ষকদের বাড়ি বা স্কুলের কাছাকাছি বা জেলার মধ্যে বদলি করা যেতে পারে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যাঁরা ২০১৭-র পরে নিযুক্ত হয়েছেন, সেই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অবশ্য রাজ্য সরকার যত্রতত্র বদলি করতে পারবে।সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা সোমবার রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন, কোনও মহিলাকে কেন তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের স্কুলে বদলি করা হচ্ছে? রাজ্যের এ বিষয়ে অধিকার রয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হলেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ তা মানতে চায়নি।মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির (এসটিইএ) আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, ‘বাড়ি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে একাধিক শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে।’ বদলি হওয়া এক শিক্ষিকার আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ বলেন, ‘আমার মক্কেলকে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের স্কুলে বদলি করা হয়েছে।’ বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, একজন মহিলাকে সংসার সামলাতে হয়। সন্তানদের দেখভাল করতে হয়।তারপরে কীভাবে তিনি কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে গিয়ে স্কুলে শিক্ষকতা করবেন? বিচারপতিরা জানান, এ ক্ষেত্রে মহিলাদের সমস্যা জড়িত বলেই তাঁরা এই মামলাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দূরদূরান্তে প্রশাসনিক বদলির বিরুদ্ধে এসটিইএ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। মূল অভিযোগ ছিল, এসএসসি-র ১৯৯৭ সালের আইনে ২০১৭ সালে ১০সি ধারা যোগ করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এক জেলা থেকে আর এক জেলায় বদলির রাস্তা খোলা হয়েছে।২০১৭-র আগে যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের এই আইনি ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বদলি করা যায় না। তা সত্ত্বেও তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত যুক্তি দেন, স্কুলে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত দেখে যেখানে যে বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রয়োজন, সেখানে বদলি করা হচ্ছে। রাজ্যের সেই ক্ষমতা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বরে। অথচ বুধবারই পর্ষদের দপ্তরে গিয়ে আরও ৩৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলির চিঠি নেওয়ার কথা। এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মামলার রায় দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এসটিইএ-র সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ মামলার রায়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা স্বস্তি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন।https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)