• বন্ধুর অস্ত্রেই রক্তাক্ত ইজরায়েল! হামাসের হাতে কী ভাবে মার্কিনি হাতিয়ার?
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • মার্কিনি হাতিয়ারে আমেরিকার বন্ধু দেশ ইজরায়েলে পৈশাচিক হত্যালীলা হামাসের। ইউক্রেন না আফগানিস্তান – কোন দেশ থেকে হচ্ছে অস্ত্রের চোরাচালান? পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের আবহে উঠছে প্রশ্ন। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে ওয়াশিংটন।গত শনিবারই দক্ষিণ ইজরায়েলের একাধিক শহরে ঢুকে পড়ে হামাস জঙ্গিরা। নির্বিচারে গুলি করে নিরীহ নাগরিকদের হত্য়া করে তারা। ইতিমধ্য়েই সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।উল্লেখ্য, ভাইরাল ভিডিয়োতে ইজরায়েলি শহরে M14 কার্বাইন হাতে হামাসকে দাপাদাপি করতে দেখা গিয়েছে। ১৯৫৭ থেকে স্বয়ংক্রিয় এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে মার্কিন ফৌজ। ৭.৬২X৫১ ক্যালিবারের গুলি ব্যবহার হয় অত্যাধুনিক এই কার্বাইনে। যা তৈরি করে আমেরিকার অস্ত্র কারখানা।সোমবার এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির এক সদস্য। কী ভাবে জঙ্গিদের হাতে মারাত্মক এই মারণাস্ত্র পৌছঁল, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন ওই মার্কিন নেতা।গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইউক্রেন বা আফগানিস্তান থেকে চোরা পথে হামাসের হাতে গিয়েছে M14 কার্বাইন। ২০২২-র ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এর পর থেকেই মস্কোর আগ্রাসন ঠেকাতে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে কোটি কোটি টাকার হাতিয়ার পাঠিয়েছে আমেরিকা। যুদ্ধের খরচ চালাতে যা চোরাচালান করা হচ্ছে বলে অনুমান।২০২১-এ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় আমেরিকা। কিন্তু সেখানে ফেলে আসে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও যুদ্ধের সরঞ্জাম। যার মধ্য়ে ছিল M14 কার্বাইন, সাঁজোয়া গাড়ি ও বেশ কিছু যুদ্ধের হেলিকপ্টার।আফগান ভূমিতে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে তালিবান সরকার। গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, হামাসের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর। তাই আর্থিক ঘাটতি মেটাতে মোটা টাকায় মার্কিন অস্ত্র প্যালেস্টাইনি সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করেছে তালিবান, মত গোয়েন্দাদের।প্রসঙ্গত, ২০১৩ থেকে ২০১৭-র তুলনায় ২০১৮-২০২২ অর্থবর্ষে মার্কিন অস্ত্র রফতানির পরিমাণ ১৪ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্বের অস্ত্র ব্যবসার ৪০ শতাংশ আমেরিকার দখলে রয়েছে।গুপ্তচর সংস্থাগুলির দাবি, সাম্প্রতিককালে মার্কিন অস্ত্র পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পৌঁছেছে। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অপারেশনে তেমনই কিছু হাতিয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় সেনা। তাই অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে আমেরিকার আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)