• পড়াশোনা করতে গিয়ে বিপদ! যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে বনগাঁর তরুণ
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • ক্রমেই ভয়ংকর আকার ধারণ করছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ ঘিরে তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে পড়লেন বনগাঁর যুবক। ১৯ মার্চ বনগাঁর শক্তিগড়ের বাসিন্দা সাত্যকি কুণ্ড উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন ইজরায়েলে। পদার্থবিদ্যয় গবেষণা করতে ইজরায়েল পাড়ি দেন সাত্যকি। ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলে যুদ্ধের পরিস্থিতি। আর সেই নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় সাত্যকির পরিবার।সাত্যকির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ছেলের সঙ্গে কথা হলেও দুশ্চিন্তা কমছে না পরিবারের। ওই যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি সুস্থ রয়েছেন। অন্তত পরিবারকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন। তবু পরিবারের দুশ্চিন্তা কাটছে না।কলকাতায় পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি শেষ করেছেন সাত্যকি। পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য ইজরায়েলে পাড়ি দেন তিনি। চলতি বছর ১৯ মার্চ ইজরায়েল যান সাত্যকি। ৯ অক্টোবর ছুটিতে বাড়িতে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু যুদ্ধের কারণে তাঁর ফেরার বিমান বাতিল হয়ে যায়। তবে মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে সাত্যকির। ভিডিয়ো কলে ছেলেকে দেখে সাময়িক স্বস্তি পেলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না পরিবারের। সাত্যকি পরিবারকে জানিয়ছেন, তাঁর টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত তিনি কলকাতায় ফিরে আসবেন।সাত্যকির মা বুলা কুণ্ডু বলেন, 'ইজরায়েলের ওয়াইম্যান ইনস্টিটিউটে আমার ছেলে পোস্ট ডক্টরেট করে। হঠাৎ করে প্যালেস্তাইন আক্রমণ করেছে। ওদের দেশে যুদ্ধের সাইরেন বাজছে। বাড়িতে নিয়মিত ফোন করছে। তবে সাত্যকি নিজেও আতঙ্কে রয়েছে। সে কলেজের মধ্যে রয়েছে। ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য বিমানের টিকিট বাতিল হয়ে যায়। সেই কারণে আমরা আরও বেশি সমস্যায় পড়েছি। ছেলে সুস্থভাবে ফিরে আসুক, এটাই চাই।'ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল।সাত্যকির জেঠু রতন কুণ্ডু বলেন, 'আমার ভাইপো পোস্ট ডক্টরেট ইজরায়েলে গিয়েছেন। সেখানে এখন যা পরিস্থিতি, আমরা খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। ভাইপোর সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। ঘনঘন সেখানে সাইরেন বেজেই চলেছে। বাড়ি ফিরবে বলে বিমানের টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু সেই টিকিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এখন ও ফিরে না আসা অবধি আমাদের দুশ্চিন্তা কমবে না। ও ফিরে আসার টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন। এখন দেশে ফিরে এলেই আমাদের শান্তি। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমোতে পারছে ওঁর মা বাবা।'
  • Link to this news (এই সময়)