• অধিকাংশ হোটেলে নেই ঘর! পুজোয় পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি 'জঙ্গলমহলের রানি'
    এই সময় | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • কাশফুলের সাজানো বন আর নীল আকাশ যেন জানান দিচ্ছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো চলে এসেছে। পুজো এলেই বাঙালির ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি মনে মনে নানা স্বপ্নজাল বোনে। পুজোর ছুটিতে অনেকেই বেরিয়ে পড়নে কাছে পিঠে কোথাও যাওয়ার জন্য। পরিবারের সঙ্গে পুজোর ছুটি উপভোগ করতে কে না চায়! পরিবারের সঙ্গে যাঁরা নীরবে নিভৃতে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তাঁদেরকে স্বাগত জানাতে তৈরি জল, জঙ্গল ও পাহাড়ের রানি মুকুটমণিপুর।কটা দিন শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান? তাহলে পর্যটকদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে মুকুটমণিপুর। পুজোতে মুকুটমণিপুরের হোটেল থেকে শুরু করেলজ, সবের বুকিং প্রায় সমাপ্ত। জঙ্গলমহলের রানির বুকে প্রত্যেকটা হোটেলে খালি নেই কোনও রুম। আর এই পর্যটন কেন্দ্রের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে খতিয়ে দেখতে তৎপরতা দেখা গেল প্রশাসনের৷শারদীয়া উৎসব ও পিকনিক সিজিনের আগের মুহুর্তে বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সুযোগ সুবিধা দিতে দেখা গেল প্রশাসনিক কর্তাদের তৎপরতা। মঙ্গলবার খাতড়ার মহকুমা শাসক নেহা বন্দোপাধ্যায়, খাতড়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রিসহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক মিলে সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন পর্যটন পরিস্থিতি। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হল।বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জঙ্গলমহলের রানি হিসেবেই পরিচিত ছিল। চারিদিকে শাল মহুয়া পিয়ালের জঙ্গলে ঘেরা চির সবুজ বনানী, তার মাঝে নীল জলবেষ্টিত কংসাবতী জলাধার, যা মন কেড়েছে বাংলাসহ সারা ভারতবাসীর। এবার পুজোয় অসংখ্য পর্যটকের ঢল নামবে বলেই আশা করছেন পর্যটন নির্ভর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশা এবারের পুজোর মরশুমে মুকুটমণিপুরে ভিড় বাড়বে পর্যটকদের।এ প্রসঙ্গে খাতড়া মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রত্যেকবারই পুজোর সময় পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সর্বদা সতর্ক রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং পর্যটকদের যাতে ভালো অভিজ্ঞতা হয়, প্রশাসনের তরফে তার চেষ্টা করা হবে।'এই সময় ডিজিটালের লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A
  • Link to this news (এই সময়)