টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং করার
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাকিব। তাঁর সিদ্ধান্ত খুব একটা কাজে এল না। আগ্রাসী ব্যাটিং
করে ইংল্যান্ড তোলে ৯ উইকেট ৩৬৪ রান। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ২২৭
রানে। ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের ইনিংসকে নেতৃত্ব দিলেন দাউইদ মালান। তাঁর এবং জনি
বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটিতেই উঠল ১১৫ রান। বেয়ারস্টো ৫৯ বলে ৫২ রান করে আউট হলেও
উইকেটের অন্য প্রান্তে অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছিল মালানকে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৪০
রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১৬টি চার এবং ৫টি ছক্কা মারলেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে তাঁর
সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করলেন জো রুটও। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক খেললেন ৬৮ বলে ৮২
রানের ইনিংস। ৮টি চার এবং ১টি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংসটি। জস বাটলার (২০),
হ্যারি ব্রুক (২০), লিয়াম লিভিংস্টোনেরা (শূন্য) রান না পেলেও বাংলাদেশের সামনে
বড় রানের লক্ষ্য রাখতে অসুবিধা হয়নি ইংরেজদের।
বাংলাদেশের কোনও বোলারই মালান
বা রুটের আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। ৭১ রান খরচ করে ৪ উইকেট পেলেন মেহদি
হাসান। ৭৫ রানে ৩ উইকেট শরিফুল ইসলামের। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ এবং
সাকিব।
জয়ের জন্য ৩৬৫ রানের লক্ষ্যে
ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। পর পর আউট হন
তানজ়িদ হাসান (১), নাজমুল হোসেন শান্ত (শূন্য), সাকিব (১) এবং মেহেদি হাসান মিরাজ
(৮)। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এর পর ইনিংসের হাল ধরেন
ওপেনার লিটন দাস এবং ছয় নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম। লিটন করলেন ৬৬ বলে ৭৬ রান। ৭টি
চার এবং ২টি ছয় মারলেন। মুশফিকুরের ব্যাট থেকে এল ৬৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস। তাঁদের পঞ্চম
উইকেটের জুটিতে উঠল ৭২ রান। যা পরিস্থিতির প্রয়োজন মেটাতে পারেননি সাত নম্বরে নেমে
তৌহিদ হৃদয় করলেন ৩৯ রান। যদিও খরচ করলেন ৬১ বল। ফলে তাঁর ইনিংস বাংলাদেশের জয়ের
সম্ভাবনা আরও কমিয়ে দেয়। বাকি ব্যাটারেরাও তেমন কিছু করতে পারেননি। ৪৮.২ ওভারে শেষ
হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের বোলারেরা ধর্মশালার
উইকেট কাজে লাগালেন বেশ ভাল ভাবে। রিসি টপলে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ৪৯ রানে ২
উইকেট ক্রিস ওকসের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্যাম কারেন, মার্ক উড, আদিল রশিদ এবং
লিভিংস্টোন।