স্থানীয় সূত্রে খবর, গিতালদহ-২
গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মরাকুঠি এলাকায় কয়েক জন চিনি
পাচার করছেন, এই অভিযোগে ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় বিএসএফের ৯০
ব্যাটেলিয়নের। ওই সময় স্থানীয়রা বেরিয়ে আসেন। তাঁদের কয়েক জন এলাকায় অশান্তির প্রতিবাদ জানান। তার পরই নাকি
বিএসএফ গ্রামবাসীদের উপর লাঠিচার্জ করে। অভিযোগ উঠেছে,
গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে তুমুল
অশান্তি শুরু হয়। গ্রামবাসীদের এ-ও অভিযোগ, কয়েক জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য
অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়েছিল। কয়েক জন জওয়ান সেই অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে দেয়।
অন্য
দিকে, অশান্তির খবর পেয়ে দিনহাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে
বিএসএফ তাদেরও আটকে দেয় বলে অভিযোগ।
এই গন্ডগোল নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত
সদস্যা রিতা পাশী বলেন, ‘‘সীমান্তে চিনি পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফের ঝামেলা হয়। কিন্তু বিএসএফ ক্যাম্প পার হয়ে চোরাচালানকারীরা কী ভাবে সীমান্তে
পৌঁছোয়? আর তাদের সঙ্গে ঝামেলা হলে আমাদের মতো সাধারণ বাসিন্দারা কেন অত্যাচার
সহ্য করব?’’ তাঁর অভিযোগ, বিনা কারণেই বিএসএফ সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর
লাঠিচার্জ করেছে। পুরুষ-মহিলা, বয়স্ক প্রত্যেককে মারধর করা হয়।
এই ঘটনা নিয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘চোরাচালানের
বিষয় নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে গ্রামবাসীদের অশান্তি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’’ যদিও ওই সব অভিযোগ নিয়ে বিএসএফ কিছু বলেনি।