• এব্যথা আর সইতে পারছেন না অর্পিতা! বিচারকের সামনে বলেই ফেললেন পার্থ-বান্ধবী
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • আবারও চর্চায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজিরা দেন অর্পিতা। সেই শুনানিতেই বিচারকের সামনে শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন অর্পিতা। বিচারক তা শুনে তড়িঘড়ি জেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন।

    বিচারককে কী বলেছেন অর্পিতা?

    সূত্রের খবর, এদিন ভার্চুয়াল শুাননিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বিচারককে জানান, দাঁতের ব্যথায় তিনি ভয়ানক কষ্ট পাচ্ছেন। জেলে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। যদিও সেই চিকিৎসায় তাঁর দাঁতের ব্যথার কোনও উপশম হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন অর্পিতা।

    অর্পিতার মুখে একথা শুনে জেল কর্তৃপক্ষকে কী নির্দেশ বিচারকের?

    এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মুখে একথা শোনার পর জেল কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অর্পিতা চাইলে জেলের বাইরেও তাঁর চিকিৎসা করাতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিচারক। এব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষকেই যাবতীয় বন্দোবস্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দিন কয়েক আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আর্জি জানিয়েছিলেন। যদিও পার্থের সেই আর্জি পরে খারিজ হয়ে যায়।

    দিন কয়েক আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর হাঁটাচলার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে কাউকে রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এরপরেই জেল কর্তৃপক্ষ এসসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। চিকিৎসকরা পার্থকে দেখার পর একটি রিপোর্ট দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাটেন্ডেন্ট রাখার আবেদন নাকচ করে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ।

    মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি ছিল আদালতে। এই মামলাতেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশিতে মেলে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। শুধু তোড়া-তোড়া নোটের বান্ডিলই নয়, অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বহুমূল্যের গয়নাও বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেই থেকে একটানা জেলে রয়েছেন পার্থ-অর্পিতা। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি দু’জনে। গত কয়েকমাসে একাধিকবার দুজনেই করেছেন জামিনের আবেদন, তবে তা মঞ্জুর হয়নি।

    মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ও অয়ন শীলের মামলারও শুনানি ছিল আদালতে। এই চারজনকেই ফের একবার জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চারজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)