• Delhi: দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে এবার প্রথম প্রতিমা সহ দুর্গা পুজো
    আজকাল | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: ১৯০১ সালের অক্টোবর মাস।

    হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। সেবার দুর্গাপুজোর কয়েকদিন আগে স্বামী বিবেকানন্দ স্থির করেছিলেন বেলুরমঠে দুর্গোৎসব করা হবে প্রতিমা সহ। সেই মতো তাঁর প্রিয়পাত্র স্বামী ব্রহ্মানন্দ ওরফে রাজা নেমে পড়েছিলেন আয়োজনে। ১৯০১ সালে বেলুরমঠে প্রথম দুর্গোৎসবের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল ইতিহাস। দিল্লিবাসীও একই ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে সেই ১২২ বছর পর। দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশন এবার শারোদৎসবে ব্রতী হতে চলেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

    রামকৃষ্ণ মিশনের ভক্তরা মিশনের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত। সকলেই নিজেদের মতো করে নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মিশনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। তৈরি করা হচ্ছে দেবীর বেদী। মিশনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে বাঁ দিকের একটি জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে মৃন্ময়ী প্রতিমা। বেলুরমঠের ধাঁচে এক চালার প্রতিমাতেই পুজো হবে। বসিরহাটের সিক্রা থেকে আসছেন একজন পুরোহিত। তিনি তন্ত্রধারকের কাজটি করবেন। আরেক পুরোহিত থাকবেন মিশনের তরফেই। এছাড়াও বীরভূম থেকে আসছে ঢাকি, ঢুলি। মোট ৪ জন ঢাকি, ২ জন ঢুলি এবং একজন কাঁসিবাদক আসছেন রামকৃষ্ণ মিশনে। পুজোর চারদিন থাকছে ভোগ, প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থ। মিশনের সম্পাদক স্বামী সর্বলোকানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, ১৯০১ সাল থেকে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। তাঁর কথায়, "রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মোট ১৯টি শাখায় বর্তমানে দুর্গোৎসব হয়। দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে আমাদের অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল দুর্গাপুজো করার। আমি সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশনের এই শাখার সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সেই প্রয়াসটি গতি পায়।" রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শাখাগুলিতে কোনও নতুন উদ্যোগ নিলে বেলুরমঠের অনুমতি নিতে হয়। তিনি জানান, তাঁদের তরফে অনুমতি চেয়ে আবেদনের পরেই খুব দ্রুত অনুমতি আসে। তারপরেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়।

    স্বামী সর্বলোকানন্দ মহারাজের কথায়, "আগে খুব সংক্ষিপ্তভাবে অষ্টমীর দিন ঘটে পটে পুজো করা হত।" তিনি বলেন, "দুর্গাপুজো রাজসিক পুজো। এই পুজোয় ঢাক, ঢোল, ভোগ খাওয়ানো, ধুম ধামের পাশাপাশি ভক্তি, শ্রদ্ধা সহকারে দেবীর অর্চনা করা হয়।" তবে রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সর্বলোকানন্দ মহারাজ জানান, বাহ্যিক আড়ম্বর নয়, মনের ভক্তি এবং শুভ শক্তি ও ভাবনা বিনাশের প্রার্থনাই তাঁদের দুর্গা আরাধনার মূল উৎস।
  • Link to this news (আজকাল)