• তিস্তায় ভেসে আসা দেহ জমছে জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মর্গে, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ!
    ২৪ ঘন্টা | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • প্রদ্যুৎ দাস: সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের‌ পর‌ তিস্তা নদীর চর থেকে একের পর এক উদ্ধার মৃতদেহ। আর সেই মৃতদেহগুলো এনে রাখা হচ্ছে জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মর্গে। এদিকে মৃতদেহ মর্গে আসার পর থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন টিবি হাসপাতাল পাড়া, সঞ্জয় নগর কলোনি এলাকার বাসিন্দারা থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ী, টোটোচালক ও রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। মর্গের পাশেই টিবি হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা মৃতদেহের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সকলেরই দাবি খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হোক। মর্গের পাশে একদিকে টিবি হাসপাতাল আর তার পাশেই জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। বহু মানুষ এই এলাকায় আসা যাওয়া করেন। এদিকে দুর্গন্ধের জেরে চরম দুর্ভোগে বাসিন্দারা।এই ঘটনায় মেডিকেল সুপারিটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল কল্যাণ খান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে জলপাইগুড়িতে প্রচুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রায় ৪০-এর উপর দেহ পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ১১টা দেহ শনাক্ত। এর মধ্যে সেনা এবং সাধারণ নাগরিকেরও দেহ রয়েছে। বাড়ির মানুষরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু মৃতদেহ এখনও রয়ে গেছে। যেগুলো আমাদের সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। যাদের দেহ এখনও শনাক্ত হয়নি।

    কারণ সিকিমের যা অবস্থা এখনও অনেক আসতে পারেনননি। তারা কবে এসে তাদের পরিজনদের দেহ শনাক্ত করবে তা এখনও জানা নেই। পুরসভাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিসকেও এই মৃতদেহ নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পূর্ত দফতর বিষয়টি দেখছে। জেলাশাসকও বিষয়টি দেখছেন। স্বাস্থ্যভবনও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। যেহেতু জলে ভেসে আসা দেহ, সেক্ষেত্রে বেশ খানিকটা পচনশীল অবস্থাতেই আছে। মর্গের পরিকাঠামো নিয়েও ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিস্তায় ভেসে প্রতিদিন-ই দেহ আসছে বলে জানান কল্যাণ খান। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)