• ডান্স ফ্লোরের মালিক হাওড়ার প্রোমোটারের রহস্য মৃত্যু, বাড়ির নীচেই মিলল ব্যবসায়ীর নগ্ন মৃতদেহ
    এই সময় | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • উত্তর হাওড়ার সালকিয়ায় প্রোমোটারের রহস্যজনক মৃত্যু। মঙ্গলবার সকালে তার পাঁচ তলা ফ্ল্যাটের নিচে থেকে তার উলঙ্গ দেহ পাওয়া যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবরসালকিয়ার কালিতলা লেনের পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন দেবাশীষ বর্মন। তাঁর বয়স ৪৫ বছর। সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী এবং মেয়ে। পেশায় প্রোমোটার দেবাশীষ বাবু ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্য়াট বাড়ি নির্মাণ করছেন। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, গতকাল রাত দশটা নাগাদ ঘরে ফেরার পর খাওয়া-দাওয়া করেন। এরপর নিজের ঘরে একা মদ্যপানের পর শুতে যান। এরপর আজ সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন ঘরে তার স্বামী দেবাশীষ বর্মন নেই। ঘরের পাশে বারান্দা থেকে নিচে উঁকি মেরে দেখেন মাটিতে উলঙ্গ অবস্থায় চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছেন তার স্বামী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।একাধিক জায়গায় ধন্দ ও ধোঁয়াশাখবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, ইদানিং প্রোমোটিং ব্যবসায় তার স্বামীর গণ্ডগোল চলছিল। পাওনাদারেরা টাকার জন্য বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। সেখান থেকে এই ঘটনা কিনা তা তিনি জানেন না। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে তিনি কোন নাম বলতে পারেননি। কারণ তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে ব্যবসার ব্যাপারে কোনরকম আলোচনা করতেন না। তবে তাঁর এক আত্মীয় জানিয়েছেন দেহটি মাটিতে চিত অবস্থায় পড়েছিল। দেহের বেশ কয়েকটি জায়গায় আঁচড়ের দাগ দেখা গেছে। তবে সেভাবে রক্ত দেখা যায়নি। আর এতেই রহস্য দানা বেঁধেছে।দুর্ঘটনা না হত্যা?গোলাবাড়ি থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ওই প্রোমোটারের বাজারে অনেক টাকা ধার হয়ে গেছিল। প্রোমোটিং ব্যবসা ছাড়াও ছাড়াও তিনি কলকাতার এক হোটেলে ডান্স ফ্লোর চালাতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রোমোটার পাঁচতলা ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এটা দুর্ঘটনা হতে পারে। তার মাথার পেছনে আঘাত রয়েছে। যেহেতু বারান্দায় কোন রেলিং ছিল না সেই কারণে মদ্যপ অবস্থায় সে ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়। এ ব্যাপারে তার স্ত্রীকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ আরও জানায় তারা কার্যত পোস্টমর্টেম রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে আছে। তাহলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
  • Link to this news (এই সময়)