• বড়মার নতুন মন্দিরের উদ্বোধন করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কবে যাচ্ছেন সেখানে?‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • এখন দুয়ারে দুর্গাপুজো। আর তা নিয়ে রাজ্যবাসী মেতে উঠতে চলেছে। তার সঙ্গে এখন একটা প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দুর্গাপুজো উদ্বোধন শুরু করবেন?‌ তার মধ্যে নৈহাটিতে তৈরি হচ্ছে বড়মার নতুন মন্দির। শতবর্ষ উপলক্ষ্যে সেখানে ধুমধাম করে উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে নতুন মন্দিরটির। এখানকার মানুষও এই নিয়ে বেশ উৎসাহী। কারণ ওই মন্দিরের জন্য তৈরি হয়েছে কষ্টিপাথরের সাড়ে চার ফুটের বড়মার মূর্তি। আর সেখানে ১০০ ভরি সোনা দিয়ে সেটি সাজিয়ে তোলা হবে বলে খবর। এই প্রতিমাকে প্রতিষ্ঠা করা হবে মন্দিরে। আর আগামী ২৯ অক্টোবর মন্দিরের উদ্বোধন করবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এই খবর চাউর হতেই এখন সাজসাজ রব শুরু হয়েছে। কারণ তখন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর লক্ষ্মীপুজোর পরেরদিন এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে। তার জেরে মনে বিষাদের সুর কেটে যাবে। রাজস্থানের শিল্পী ধর্মেন্দ্র সাউ তিনমাস ধরে নৈহাটিতে কষ্টি পাথরের বড়মার মূর্তি নির্মাণ করেছেন। প্রায় তিন কেজি ওজনের রুপোর ঘট বসছে সেখানে। মায়ের নিচে শায়িত থাকবে শিবের মুকুট, ত্রিশূল, পাদুকা। ১২ জন ব্রাহ্মণ এই মূর্তি প্রতিষ্ঠার পুজো করবেন। বারাণসী থেকে আসছেন সেইসব ব্রাহ্মণরা। ৫০ কেজি বেল কাঠ জ্বালিয়ে হবে বিশাল যজ্ঞ। চলবে গীতাপাঠ, চণ্ডীপাঠ ও রুদ্রপাঠ। ২৮ তারিখ লক্ষ্মীপুজোর দিন বড়মার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়ে ভোগ নিবেদন করা হবে। আর ২৯ তারিখ হবে মন্দিরের উদ্বোধন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে।

    আরও পড়ুন:‌ দেবীপক্ষের শুরুতে বাড়ির বাইরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ একদিনেই জেলার পুজোর উদ্বোধন 

    তারপর ঠিক কী হবে?‌ আগামী ২৯ অক্টোবর ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বার উদঘাটন করবেন। তার পর ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দির ও তার প্রাঙ্গণ। মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে এসেছে। এই মন্দিরে বসছে রাধা–কৃষ্ণের মূর্তিও। এই নতুন মন্দিরের দোতলায় থাকছে কমবেশি ৩০০ জনের ভোগ খাওয়ার মতো জায়গা। তিনতলা ও চারতলা মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে অতিথি নিবাস এবং বৃদ্ধাশ্রম। আর কালীপুজোর সময় যেমন ২২ ফুট উচ্চতার ঘন কৃষ্ণবর্ণ বড়মার প্রতিমা তৈরি করে পুজো হয় সেটাও হবে। সুতরাং ভক্তসমাগম শুরু হয়ে যাবে।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০২২ সালের কালীপুজোয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তি তৈরি করা হবে। এই বিষয়ে বড়কালী পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌ভক্তরা যে সোনা দান করেছিলেন সেটা দিয়েই বড়মার ১০০ ভরির সোনার গয়না তৈরি হয়েছে। ভক্তদের অনুদানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’‌ এই বিষয়ে উদ্যোগ নেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়। তার পরই রাজ্যের নানা প্রান্ত এবং দেশ–বিদেশের ভক্তদের প্রায় ৮ কোটি টাকার অনুদানে শুরু হয় চারতলা মন্দির নির্মাণ এবং কষ্টি পাথরের বড়মার মূর্তি নির্মাণ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)