প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ হাইকোর্টের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৩
প্রাথমিকে বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরিবর্তে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের টেটের মেধা তালিকা নম্বর সহ প্রকাশ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এদিন মামলার শুনানিতে সিবিআই আদালতকে জানায়, রাজ্যে স্কুলগুলিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এরকম ৯৪ জনের তালিকা আগেই আদালতের কাছে পেশ করেছিল সিবিআই। বিচারপতি ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম। সেই সঙ্গে ওই দুটি নিয়োগের মেধা তালিকা আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডকে (ডব্লিউবিবিপিই) ভবিষ্যতে নিয়োগের পদ্ধতিতে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি এমন প্রার্থীদের একটি সুযোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বলেন, ‘এই প্রার্থীরা বেকার। তাঁরা মনে করেন যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ না পেয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারিত করা হয়েছে। তাই আপনাদের অবশ্যই তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা উচিত।’
অন্য দিকে, ২০২০ সালের টেটের মেধা তালিকা ২০২১ সালে প্রকাশ করার পরেই সেটি তুলে নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সে বিষয়ে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল। এ নিয়ে একটি থানায় একটি অভিযোগে জানানো হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা আজ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ না নিয়ে নতুন টেট ঘোষণা করা হয়েছে। আগে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে প্রার্থীরা এপিসি ভবনের দিকে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।