আজ, মঙ্গলবার কামদুনিতে গিয়ে মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং সিআইডি–কে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই মামলা হালকা করে দিয়েছে সিআইডি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সুতরাং কামদুনি নিয়ে ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গেল। যার জেরে দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতির বাতাবরণ।
এদিকে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বলে খবর। এই বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কামদুনি নিয়ে আমরা শাস্তি চাই। কিন্তু শাস্তির বিষয় নির্ভর করে আদালতের উপর। নিম্ন আদালত ফাঁসি দিয়েছিল। উচ্চ আদালতে সেটা বদল হয়েছে। আর এরা যেভাবে রাস্তায় নামল, তাতে বুঝিয়ে দিল রায় পছন্দ না হলেই রাস্তায় নামা যায়। পরে যেন তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষ না দেয়। আদালতে রায় বদলালে তৃণমূল কংগ্রেসের কী করার আছে? রাজ্যের যা করার ছিল রাজ্য তা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে।’ যদিও শুভেন্দুর অভিযোগ, মৌসুমী–টুম্পা কয়ালরা নিরাপত্তা পাননি। বদলে নিরাপত্তা পেয়েছে ধর্ষকরা।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের ধাঁচে তৈরি হল মেট্রোর নয়া টোকেন, টিকিট কাউন্টার থেকেই পাবেন যাত্রীরা
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ধর্ষকদের রক্ষক বলেছেন। পাল্টা কুণালের বক্তব্য, ‘বাম আমলে কী কী হয়েছিল ধানতলা, বানতলায়? তারা এখন বড় বড় কথা বলছেন। ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের আইনজীবী হলেন ফিরোজ এডুলজি। তিনি বিজেপির হয়ে মামলা লড়েন। ইডির হয়ে সওয়াল করেন। তিনি এবার কি করছেন?’ এই তথ্যটি দিয়ে আজ টুইট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য। সরাসরি বিজেপি–আরএসএসের আইনজীবী এবং ধর্ষকদের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেছেন বলে টুইট করেন দেবাংশু। সেটা শোনা গেল কুণালের গলায়ও।
শুভেন্দুকে কী তোপ কুণালের? আজ যে মিছিল করা হয়েছে কামদুনিকে সামনে রেখে তা নিয়ে তুলোধনা করেছেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে কুণালের তোপ, ‘এই মিছিলের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। সস্তার রাজনীতি করা হচ্ছে। যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে তখন শুভেন্দু তৃণমূলের সাংসদ। তারপর হাত বাড়িয়ে মন্ত্রী। পরিষ্কার কথা ঘটনা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। এই রায় নিয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। তারপরে শুভেন্দুর এই মিথ্যাচার আজকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। সরকার চায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। দলবদলু নাটক করছে। আর কেউ কেউ ফ্যাশান প্যারেড করতে গিয়েছে। আগে শুভেন্দু বলুক ফিরোজ এডুলজি কি করছে? মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল ও প্রশাসন মনে করেছে এই রায় চ্যালেঞ্জ করার মতো। তারা সেটাই করেছেন।’