• ‘ভাগ্যিস ভারতে থাকি’, প্রাণে বাঁচতে লুকিয়ে ছিলেন হোটেলের বেসমেন্টে! আতঙ্কে নুসরত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • নিজের ছবি ‘অকেলি’-এর জন্য ইজরায়েলে হাইফা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী নুসরত ভারুচা। আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। ইজরায়েলের উপর হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। চারিদিকে বোমার শব্দ, ধ্বংসস্তূপ আর রক্তের বন্যার মধ্যেই ঘুম ভাঙে নুসরতের। প্রাণে বাঁচতে তেল হাবিবের সেই হোটেলের বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন নুসরত। ভারতীয় সরকারের হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত দেশে ফেরেন অভিনেত্রী। দেশের মাটিতে পা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পরিস্থিতিতে ছিলেন না নুসরত।

    অবশেষে মঙ্গলবার ভিডিয়ো বার্তা জারি করে অনুরাগীদের আশ্বস্ত করলেন নুসরত। জানালেন ‘এখন আমি একদম সুরক্ষিত রয়েছি’। কিন্তু আতঙ্কের ৩৬ ঘন্টা কেমন ছিল? শুক্রবার রাতে ইজরায়েলের হোটেলে নৈশভোজ সারেন, এরপর ঘুমোতে যান। সকালে ঘুম ভাঙে বোমার শব্দে। নুসরত বলেন, ‘আজ যখন সকালে নিজের বাড়িতে ঘুম থেকে উঠলাম, বোমের শব্দ ছিল না। অনুভব করলাম আমরা কত ভাগ্যবান। আমি সত্যি ভাগ্যবান যে আমরা ভারতের মতো দেশে জন্মেছি। আমরা এখানে সুরক্ষিত। আমি সত্যি ধন্যবাদ জানাতে চাই ভারত সরকারকে, ভারতীয় দূতাবাসকে, ইজরায়েলি দূতাবাসকে- যাঁদের সহায়তা এবং সাহায্য়ে আমি সুরক্ষিত নিজের দেশে ফিরতে পেরেছি। একইসঙ্গে আমার প্রার্থনা যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য, যেন দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলে যায়, শান্তি ফিরে আসে’। 

    দীর্ঘ বিবৃতিতে নুসরত লিখেছেন, ‘ওই ৩৬ ঘণ্টা আমার সারা জীবন মনে থেকে যাবে। এটা আমার জীবনের এমন এক অভিজ্ঞতা যা কখনওই ভুলতে পারব না।’

    বরুণ ধাওয়ান, মণীশ মালহোত্রা, হর্ষবর্ধন কাপুর-সহ ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা নুসরতের পোস্টে মন্তব্য করেছেন। নুসরত যে সুরক্ষিত দেশে ফিরেছেন, তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছন সকলেই।

    আকেলি ছবিতে নুসরতের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইজরায়েলি অভিনেতা সাহি হালেভি ও আমির বোট্রাসও ছিলেন। সেই ছবির প্রিমিয়ারেই ইজরায়েল পৌঁছেছিলেন নুসরত। ইজরায়েলের নানান ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান ঘুরেও দেখেন নায়িকা। শনিবারই ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর, অথচ ঘন্টা খানেকের মধ্যেই বদলে যায় পরিস্থিতি। নুসরত তাঁর বিবৃতিতে জানান, তেল হাবিবের যে হোটেলে তিনি ছিলেন সেখান থেকে ভারতীয় দূতাবাস মাত্র ২ কিমি দূরে অবস্থিত, অথচ সেই দূরত্ব অতিক্রম করাও কার্যত অসম্ভব ছিল। রাস্তায় হামাস জঙ্গিরা নির্বিচারে হত্যালীল শুরু করেছে! নুসরত লেখেন, ‘তখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারছি যে ফ্লাইট ধরতে তো পারবই না, উল্টে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে আটকে পড়ব। আমরা তখন সাহায্যের আশায় সর্বত্র ফোন করতে শুরু করি’।

    তেল আভিভের হোটেল থেকে বেরিয়ে বেন গুরিওঁ বিমানবন্দরে পৌঁছনো সহজ ছিল না। ভারতের উদ্দেশে বিমান যখন রওনা দেয়, সেটা 'স্বর্গীয় অনুভূতি' বলেই মনে হয়েছিল নুসরতের। 

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)