পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে বড়সড় অঘটন। দর্শনের সময়ই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন এক পুণ্যার্থী। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশ থেকে সপরিবারে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের দর্শন করতে এসেছিলেন রায়ান প্রসাদ। জগন্নাথদেবের দর্শনের জন্য লাইন দিয়ে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করেন তিনি। কিন্তু, পুজো চলাকালীন আচমকাই শরীর আনচান করতে শুরু করে ৬৫ বছরের এই ভক্তের। বুকে অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করেন তিনি। এরপর একসময় সামলাতে না পেরে সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রায়ান প্রসাদ। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন পুরী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সদস্যরা। উত্তর প্রদেশের এই ভক্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।হাসপাতাল সূত্রে খবর, রায়ান প্রসাদ মন্দিরের ভিতরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মত্যুর কারণ হিসেবে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটেও হার্ট অ্যাটাক লেখা হয়েছে।এদিকে, সোমবারই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ড্রেস কোড চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। 'সভ্য' পোশাক না পরলে কোনও ভক্তকেই আর দর্শনে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে। একাধিক জায়গা থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথধামে এবার নয়া পোশাকবিধি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। জানা যাচ্ছে, আগামী ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই বিধি লাগু হতে চলেছে দর্শণার্থীদের উপর। মঙ্গলবার থেকেই এই মর্মে সিংহদুয়ারের সামনে দর্শণার্থীদের সচেতন করা শুরু হয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগ এবং পবিত্র মন নিয়ে এই মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পুণ্যার্থী আসেন। তাঁদের অনেকেই থেকেই পোশাক নিয়ে আপত্তি এসেছে। ফলে মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব। এমনটাই জানাচ্ছে পুরীর মন্দির কমিটি। এ প্রসঙ্গে মুখ্য প্রশাসক রঞ্জন দাস বলেন, '২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই পোশাকবিধি কঠোরভাবে সকলকে মেনে চলতে হবে। সিংহদুয়ারের মুখে এবং মন্দিরের ভিতরে প্রতিহারি সেবায়েতরা উপস্থিত থাকবেন। পুণ্যার্থীরা পোশাকবিধি মেনে না চললে তাঁদের অন্দরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে।' মহিলাদের ক্ষেত্রে স্লিভলেস পোশাক, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে ছেঁড়া জিন্স এবং হাফ প্যান্ট পরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে নাপুরীর মন্দিরের সমস্ত খবর জানতে ফলো করুন নীচের লিংকে।