• পর্যটন গ্রামের পরিচ্ছন্নতায় নজর রাজ্যের
    আনন্দবাজার | ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা ইতিহাসের টানে পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে রাজ্যের এমন তিন হাজারেরও বেশি গ্রামকে ‘পর্যটন গ্রাম’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। সেই গ্রামগুলিকে পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় এসে এমনই জানালেন রাজ্যের ওই দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না।

    এ দিন পুরুলিয়া রবীন্দ্রভবনে দফতরের একটি জনপরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের ৩৩৪২টি পঞ্চায়েতে ৪০৬০০টি গ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে ২৭৮টি পঞ্চায়েতের ৩৬৬১টি গ্রামকে ‘পর্যটন গ্রাম’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই গ্রামগুলিকে আমরা পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছি।” যে সব গ্রামে পর্যটকেরা বেড়াতে যান, সেখানকার হোটেল, রিসর্ট বা হোম-স্টের পাশাপাশি গ্রামের সার্বিক পরিবেশও পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “প্রতি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের পরে গ্রামে যত্রতত্র যাতে আবর্জনা পড়ে না থাকে বা জল জমে না থাকে তার জন্য ‘ওডিএফ প্লাস’ কর্মসূচিতে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একশো শতাংশ স্বচ্ছতা।” প্লাস্টিক যত্রতত্র না ফেলার কথাও এ দিন উল্লেখ করেন তিনি।

    জেলার ২০টি ব্লকের ৭৪টি পঞ্চায়েত এলাকায় এ দিন কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজের সূচনা করেন দুই মন্ত্রী বেচরাম মান্না ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। বেচারাম বলেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজকে দায়িত্বের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পঞ্চায়েতগুলিতে সেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করে সেখান থেকে প্লাস্টিক আলাদা করে কী ভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা যায়, সে ভাবনাও আমাদের রয়েছে।” এ দিন জেলার ৫৫টি পঞ্চায়েতের প্রধানদের পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ই-রিক্সার চাবি তুলে দেন মন্ত্রী-সহ বিশিষ্ট জনেরা।

    তার আগে জেলায় এই প্রকল্পে কী ভাবে কাজ হচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) আদিত্যবিক্রম এম হিরানি। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এই প্রকল্পকে আন্দোলনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।”

    অনুষ্ঠানে ছিলেন সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক রজত নন্দা, মেন্টর অঘোর হেমব্রম, কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষেরা।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)