পদ্মচাষিরা জানান, চৈত্র থেকে পুকুরে পদ্ম ফুটতে শুরু করে। এ বার শিশির, কুয়াশার কারণে এমনিতেই পদ্ম কম ফুটেছে। তার উপরে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে জলে পুকুর ভরে গিয়েছে। ফলে, পদ্ম গাছ ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলে কিছুটা উৎপাদন হতে পারে বলে আশা চাষিদের। তবে উৎপাদন আগের মতো হবে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
রামপুরহাট থানার পদ্মচাষি ভুবন মণ্ডল, তারাপীঠ থানার পদ্মচাষি নিখিল হাজরা জানান, এই অঞ্চলের পদ্ম কলকাতা, মালদহ, শিলিগুড়ির পাশাপাশি রাজ্যের বাইরে ঝাড়খণ্ডের দুমকায়ও বিক্রি করে। নিখিল ১০টি পুকুরে পদ্মচাষ করেন। ভুবন রামপুরহাট মাড়গ্রাম থানা এলাকায় চারটি পুকুরে পদ্ম চাষ করেন। দু’জনেই বলেন, ‘‘নিম্নচাপের বৃষ্টির আগে পুকুর থেকে প্রতি দিন ১,০০০-১,২০০ পদ্মটি উঠত। বর্তমানে সেই উৎপাদন কমে গিয়ে ১৫০-২০০ তে দাঁড়িয়েছে। যত শিশির এবং কুয়াশা পড়বে ততই উৎপাদন কমে যাবে।’’ একই কথা জানান মহম্মদবাজার থানা এলাকার পদ্মচাষি সুকুমার বাগদি, সুনীল বাগদি, প্রশান্ত বাগদিরা।
পদ্মচাষিরা জানান, নিম্নচাপের বৃষ্টির আগে ১০০টি পদ্মের বাজার দর ছিল ৩০০-৪০০ টাকা। এখন ১০০টি পদ্ম ১,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুর্গাপুজোর সময়ে সেই দর আরও বাড়বে বলে পদ্মচাষিরা জানান। তবে দুর্গাপুজোয় পদ্মের জোগান দেওয়ার জন্য পদ্মচাষিরা হিমঘরে পদ্ম রাখতে শুরু করে দিয়েছেন। নিখিল জানান, ‘‘সাঁইথিয়ায় হিমঘরে দুর্গাপুজোয় জোগান দেওয়ার জন্য ২২টি প্যাকেট পদ্ম ভরে রেখেছি। প্রতি প্যাকেটে ১,০০০টি পদ্ম আছে।’’
তবে চাষিরা জানান, দুর্গাপুজো-সহ অন্য পুজো এ বছর দেরিতে হওয়ার জন্য আগের মতো পদ্মের জোগান দেওয়া যাবে না।