বিশ্বকাপে ফের অঘটন, ডাচদের কাছে হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
আজকাল | ১৮ অক্টোবর ২০২৩
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধর্মশালায় কমলা ঝড়। ইংল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটন। প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর নেদারল্যান্ডসের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল প্রোটিয়ারা। অবিশ্বাস্য হার। কেন তাঁদের গায়ে চোকার্স তকমা সেঁটে গিয়েছে, সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল। প্রথম ম্যাচে শতরানের হ্যাটট্রিক। দুই ম্যাচে বিরাট জয়ের সুবাদে রানরেটে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল তেম্বা বাভুমার দল। এদিন ডাচদের হারালেই ভারতকে টপকে ফের টেবিলে একনম্বর স্থান দখল করে নিত। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে অ্যাসোসিয়েট দলের কাছে হেরে বসল দক্ষিণ আফ্রিকা। ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩৮ রানে হার। আফগানদের পর রেকর্ডবুকে ডাচরাও। জঘন্য পারফরম্যান্স প্রোটিয়াদের। শেষদিকে কেশব মহারাজ ৪০ রান না করলে আরও লজ্জার মুখে পড়তে হত প্রোটিয়াদের। শুরুটা খারাপ করেও দারুণ প্রত্যাবর্তন নেদারল্যান্ডের। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ ৪৩ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ তোলে নেদারল্যান্ডস। জবাবে ৪২.৫ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডাচদের জয়ের সিংহভাগ কৃতিত্ব স্কট এডওয়ার্ডসের।
টপ অর্ডার পুরো ব্যর্থ। প্রথম ছয় ব্যাটার রান পায়নি। সাত নম্বরে নেমে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন ডাচ অধিনায়ক। ১১২ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল দুশোর আগেই শেষ হয়ে যাবে নেদারল্যান্ডের ইনিংস। কিন্তু ১টি ছয় এবং ১০টি চারের সাহায্যে ৬৯ বলে ৭৮ রানের ইনিংস পার্থক্য গড়ে দেয়। তাঁর কাঁধে ভর করেই ২৪৫ রান তোলে ডাচরা। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন রোলফ ভ্যান ডার মারউয়ি (২৯) এবং আরয়ান দত্ত (২৩)। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই উইকেট খোয়াতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দু'ম্যাচে শতরান করে ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু আজ ২০ রান করে তিনি আউট হতেই ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং। পরপর তিন ম্যাচে ফ্লপ বাভুমা। ক্রমশ দলের বোঝা হয়ে উঠছেন তিনি। ছন্দে থাকা ভ্যান ডার দুসেন (৪), আইডেন মার্করামও (১) রান পায়নি। কিছুটা চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার। কিন্তু ৫২ বলে তাঁর করা ৪৩ রান দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৮ করে আউট হন হেনরিচ ক্লাসেন। শেষদিকে কিছুটা চেষ্টা করেন কেশব মহারাজ (৪০)। শেষ উইকেটে ৪১ রান যোগ করে কেশব মহারাজ এবং লুঙ্গি এনগিডি। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিতে হল প্রোটিয়াদের।