নৈহাটি থেকে যাচ্ছেন পুরোহিত, নির্ঘন্ট মেনে চারদিন পুজো মিউনিখে
আজকাল | ১৯ অক্টোবর ২০২৩
রণজয় মালাকার: সালটা ২০১৪, ৬ জন প্রবাসী বাঙালি এবং ২ জন জার্মান প্রতিষ্ঠা করলেন মিউনিখ শহরের প্রথম ঘোষিত ভারতীয় বাঙালি সংগঠন, সম্প্রীতি মিউনিখ।
সেই সংগঠন আজ কৈশোরে পা রেখেছে, ২০২৪ এ পূর্ণ করবে এক যুগ, সদস্যসংখ্যা এই মুহূর্তে ২৫০ ছুঁইছুঁই । শুরুটা হয়েছিল প্রবাসে বাঙালিয়ানার অকৃত্রিম স্বাদ এনে দিতে। পরের দেশে একেবারে ঘরের মতো বিজয়া সম্মিলনী এবং পয়লা বৈশাখের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন দিয়ে সূচনা। ধীরে ধীরে বাড়ল লোকসংখ্যা, বাড়ল আয়োজনের বহর। তারপর আর কী, ২০১৯-এ রমরম করে শুরু হয়ে গেল "শারদ সম্প্রীতি"। কুমোরটুলির ঠাকুর, কলকাতার পুরোহিত, আসল ঢাকের বাদ্দি আর কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ায় জমজমাট সর্বজনীন। যদিও এই সুখের মাঝে ছেদও পড়েছে সাময়িক। ২০২০তে বাধা হয়ে দাঁড়াল কোভিড, ২০২১এও পুজো হল, তবে শুধুমাত্র সদস্যদের জন্য, ২০২২-এ সভাগৃহের অনুমোদিত জনধারণ ক্ষমতা মানতে সকলকে পুজোয় সামিল করা গেল না। কিন্তু ফের পরিস্থিতি আগের মতো হয়েছে।পঞ্চম বর্ষে এবার ধুমধাম করে শারদ সম্প্রীতি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মিউনিখের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সুবিশাল ঐতিহ্যশালী সভাগৃহ "ফ্রাইহাইট্সহালে" তে । ২০২৩ এর শারদ সম্প্রীতিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকছেন মিউনিখ এর ভারতীয় দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মোহিত যাদব, ও নগর পরিষদের আধিকারিক টমাস লেখনর। সুদূর নৈহাটি থেকে আসছেন পুরোহিত, যার নিখুঁত অনুশাসনে, নিরলস প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হবে চার দিন ব্যাপী শারদ উৎসব। প্রস্তুতি এখন জোরকদমে। সকাল সন্ধে জুড়ে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাতে অংশগ্রহণ করছেন সদস্যরাই। গানে নাটকে নাচে জমজমাট অনুষ্ঠান সূচি। শারদ সন্ধ্যার এই আনন্দের সীমানা শুধু বাঙালিদের মধ্যেই যাতে সীমাবদ্ধ না থাকে, তাই আছে সপ্তমীর সন্ধেবেলা ডান্ডিয়ার অনুষ্ঠান, তাতে অংশগ্রহণ করছেন ১০০-র বেশি প্রবাসী ভারতীয়। "ফ্রাইহাইট্সহাল'-এর অর্থ "মুক্তিপ্রাঙ্গণ", কোভিড পরবর্তী মুক্তির ডানায় ভর করে এভাবেই হবে শারদ সম্প্রীতির উপযুক্ত উদযাপন।