• মোদী ও আদানিকে প্রশ্ন করায় প্রতিহিংসার শিকার, মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন অভিষেক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ নভেম্বর ২০২৩
  • অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে সম্ভবত আজই খারিজ হতে চলেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ। তার আগে প্রথমবার প্রকাশ্যে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও আদানিকে প্রশ্ন করায় প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন মহুয়া।

    বৃহস্পতিবার অভিষেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে। সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায় তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়’।

    তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট। আমাকেও এরা ৪ বছর ধরে ডাকছে। আলাদা আলাদা কেসে নাম জড়াচ্ছে। একটা কেসে কিছু পাওয়া না গেলে আরেকটায় জড়াচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়’।

    টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে বুধবার প্রকাশ্যে আসে সংসদের এথিকস কমিটির খসড়া সুুপারিশপত্র। সেই সুপারিশপত্রে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে মহুয়ার সাংসদপদ প্রত্যাহারের আবেদন করেছে কমিটি। শুধু তাই নয় মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন লোকপাল। বিদেশে বসবাসকারী ব্যবসায়ীকে লোকসভার পোর্টালের পাসওয়ার্ড বলে দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে ছেলেখেলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ মেনে নিলেও মহুয়ার দাবি, আগে আদানির কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্ত হোক।

    বলে রাখি, তৃণমূলের অন্দরে অভিষেকের অত্যান্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মহুয়া। গত মাসে রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান চলাকালীন দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের কাছে যে প্রতিনিধিদল গিয়েছিল তার অন্যতম সদস্য ছিলেন মহুয়া। ‘নতুন তৃণমূল’-এর দিল্লিতে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)