• মাত্র ১ ঘণ্টাতেই ED দফতর থেকে বেরিয়ে এলেন অভিষেক, বললেন লুকানোর কিছু নেই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ইডির তলবে হাজিরা দেওয়ার মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অভিষেক জানান, ইডি কিছু নথি চেয়েছিল, সেই নথি জমা দিয়েছি। আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।

    গত ৭ নভেম্বর জন্মদিনের দিন সন্ধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করে ইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। বেলা ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। ইডির সমনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ০৫ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। বেলা ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ বেরিয়েও আসেন তিনি।

    এর পর সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'ইডি আমাকে খুব কম সময় দিয়ে তলব করেছি। আমার কাছে বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সঙ্গে আমাকে সশরীরে হাজির হতে বলেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিক। আমি তাদের নির্দেশ মতো ৬০০০ পাতার নথি জমা দিয়েছি'।

    তিনি বলেন, ‘আমি তদন্তে সব রকম সাহায্য করব। আমাকে নবজোয়ার যাত্রার মধ্যে তলব করা হয়েছিল। INDIA জোটের বৈঠকের দিন তলব করা হয়েছিল। আমি কিন্তু হাজিরা দিয়েছি। গত ১০ অক্টোবর আদালত বেশ কিছু নথি জমা দিতে বলে। তাও জমা দিয়েছি। আজকে যে নথি জমা দিয়েছি তা দেখে তদন্তকারীরা আমাকে ফের ডাকলে আমি ফের হাজিরা দেব’।

    অভিষেক বলেন, ‘চাইলে আমি ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডারকে হাতিয়ার করে কাউকে দিয়ে শুধু নথি পাঠিয়ে দিতে পারতাম। বলে দিতাম, খতিয়ে দেখে প্রয়োজন মনে হলে আমাকে ডাকবেন। কিন্তু আমি তা করিনি। আমি নিজে এসেছি। কারণ, আমার লুকানোর কিছু নেই।’

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সূত্রে উঠে এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ইডির দাবি, ওই কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। আর ওই সংস্থার CEO অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সংস্থার পরিচালন সমিতিতে রয়েছেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের একাধিক সদস্য।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)