• সেমিতে উঠতে প্রায় ৩০০ রানে জিততে হবে পাকিস্তানকে! ভারতের সামনে সম্ভবত কিউয়িরাই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 'পাশে' দাঁড়াল না শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সামনে স্রেফ উড়ে গেল লঙ্কাবাহিনী। ১৬০ বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেটে জিতে পাকিস্তানের কাজটা ভয়ংকর কঠিন করে দিল নিউজিল্যান্ড। আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৭৪ রানে জিততে হবে পাকিস্তানকে। তবে নেট রানরেটের নিরিখে নিউজিল্যান্ডকে ছাপিয়ে সেমিফাইনালে যেতে পারবেন বাবর আজমরা। নাহলে আগামী ১৫ নভেম্বর (বুধবার) নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে খেলতে নামবে ভারত (খাতায়কলমে আফগানিস্তান এখনও টিকে থাকলেও আফগানদের পক্ষে সেমিতে ওঠা কার্যত অসম্ভব)।

    এমনিতে ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে তিনটি দল - ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ লিগের শেষটা শীর্ষে থেকেই করবে টিম ইন্ডিয়া। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের মধ্যে কোনও একটি স্থানে থাকবেন প্রোটিয়া এবং অজিরা। তাঁরা দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবেন। প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে নিউজিল্যান্ড বা পাকিস্তান বা আফগানিস্তান। আর আপাতত যা অবস্থা, তাতে প্রথম সেমিফাইনালে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের লড়াই হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    কারণ নয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১০। নেট রানরেট +০.৭৪৩। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান যদি শেষ ম্যাচ জেতে (আপাতত দু'দলের ঝুলিতে আছে আট পয়েন্ট), তাহলে ওই দুই দলেরও পয়েন্ট দাঁড়াবে ১০। সেক্ষেত্রে নেট রানরেটের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে যে কোন দল সেমিতে উঠব। আর নেট রানরেটের নিরিখে বিশাল এগিয়ে আছেন কিউয়িরা। তাঁদের ছাপিয়ে যেতে গেলে পাকিস্তানকে শেষ ম্যাচে রানে জিততে হবে। 

    বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৭১ রানে অল-আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জীবনদান পাওয়ার পরে ২৮ বলে কুশল পেরেরার ৫১ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ১০ ওভারের শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ৭৪ রান। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তাও শ্রীলঙ্কা যে ১৭১ রান তুলতে পেরেছে, সেটার জন্য মাহিশ থিকশানা এবং দিলশান মধুশঙ্কার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজদের।

    শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন নয় নম্বর ব্যাটার থিকশানা এবং ১১ নম্বর ব্যাটার মধুশঙ্কা। ৮৭ বলে ৪৩ রান যোগ করেন। ৯১ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন থিকশানা। ৪৮ বলে ১৯ রান করেন মধুশঙ্কা। যিনি এবার বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সম্ভবত একমাত্র সফল খেলোয়াড়। অন্যদিকে, কিউয়িদের হয়ে ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। দুটি করে উইকেট পান লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র এবং মিচেল স্যান্টনার। একটি উইকেট পান টিম সাউদি।

    সেই রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৩ রান তোলে। তারইমধ্যে ১২.২ ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। ৪২ বলে ৪৫ রানে আউট হয়ে যান ডেভন কনওয়ে। সেইসময় কিউয়িদের স্কোর ছিল এক উইকেটে ৮৬ রান। পরের ওভারেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান রাচিন। ৩৪ বলে ৪২ রান করেন তিনি। তার ফলে ১২.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৬ রান থেকে ১৩.৩ ওভারে কিউয়িদের স্কোর দাঁড়ায় দুই উইকেটে ৮৮ রান।

    তারপর ক্রিজে আসেন ডারিল মিচেল। প্রথম বলেই রিভার্স সুইপে চার মেরে বুঝিয়ে দেন যে যত দ্রুত সম্ভব রানটা তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে চাপ ফেলে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি গড়ে কিউয়িদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তারইমধ্যে ১৮.২ ওভারে আউট হয়ে যায়ন উইলিয়ামসন। তিনি যখন আউট হন, তখন জয়ের জন্য ৪২ রান দরকার ছিল কিউয়িদের। তারপর দ্রুত রান তুলতে আরও দুটি উইকেট হারালেও শেষপর্যন্ত ২৩.২ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন তাঁরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)