Migrant Labour : যে কোনও বিপদে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকবে রাজ্য, নাম নথিভুক্ত করান ১০ নভেম্বরের মধ্যে
এই সময় | ১০ নভেম্বর ২০২৩
বাংলার একটা বড় অংশের মানুষ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। অনেক সময় বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীনও হন তাঁরা। কখনও কখনও পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যে কোনওরকম আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যায় তার জন্য নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। সরকারি পোর্টালে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকারের শ্রম দফতর। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্যাডে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, 'আপৎকলীন পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে পৌছনোর জন্য জনদরদী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম দফতর নাম নথিভুক্তকরণের এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই নাম নথিভুক্তকরণের জন্য পরিযায়ী শ্রমিক অথবা তাঁর পরিবারের কাউকে সংশ্লিষ্ট বরো অফিসে ১০ নভেম্বর, ২০২৩-এর মধ্যে যোগাযোগ করতে হবে।'ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও লেখা হয়েছে, 'আপনার ও আপনার ওয়ার্ডে কোনও পরিযায়ী শ্রমিক থাকলে, তাঁদের ও তাঁদের পরিবারকে এই কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করা এবং নাম নথিভুক্তকরণে তাঁদের উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে হওয়া এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে আপনার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।'প্রসঙ্গত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এমনকী তাতে কখনও কখনও প্রাণও যায় তাঁদের। যেমন গুজরাটে কাজ করতে গিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসেও মৃত্যু বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃত শ্রমিকের নাম সুজিত জানা। তাঁরা বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায়। জানা যায়, বছর একুশের ওই যুবক পেটের তাগিদে গুজরাটে গিয়েছিলেন ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে। সেখানে সুরাটের মুন্দ্রা বন্দরে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন সুজিত জানা। কিন্তু পেটের তাগিদে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না তরতাজা ওই যুবকের।যদিও রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য বারেবারেই শ্রমিকদের বাংলায় ফিরে এসে কাজে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শ্রমিকদের উদ্দেশে এই বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে। আর তারই মাঝে রাজ্য সরকারের শ্রম দফতরের তরফে নেওয়া হল এই বিশেষ উদ্যোগ।